রাঙ্গামাটিতে দীপঙ্কর-মুছা কমিটি নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ
স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :
দীপঙ্কর তালুকদার ও হাজী মুছা মাতব্বর এর নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের জেলা কমিটি নিয়েই নির্বাচনে যাচ্ছে রাঙামাটি আওয়ামী লীগ। কাউন্সিলের একবছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত না হওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া এখনো কোনো নেতাই জানেন না তাদের দলীয় পরিচয় কি ? সম্মেলনের এক বছর পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় বিভিন্ন সভা, সমাবেশে প্রটোকল সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরও নানা জটিলতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ। আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতি ও সম্পাদকই সর্বেসর্বা। যদিও এমন কথা মানতে রাজি নয় দুই সদস্যের কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর। নতুন পুরাতন সকলকে নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বলেও দাবী করেন জেলা আওয়ামীলীগের দ্বীতিয় শীর্ষ নেতা হাজী মুছা মাতব্বর।
আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সে কাউন্সিলে দীপঙ্ককর তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি পদে জয়ী হন। অন্যদিকে হাজি কামাল উদ্দিনকে ১০ ভোটে পরাজিত করে হাজি মুছা মাতব্বর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পার্বত্য রাজনীতির সুতিকাঘার রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগে পদ প্রত্যাশী এক নেতা নিজের নাম গোপন রাখার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও গত এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নিজের দলীয় পরিচয় নিয়ে সমস্যায় ভুগছি। বিভিন্ন দলীয় কর্মসুচীতে পরিচয় ছাড়াই উপস্থিত হতে হয়।
আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের গত ৫ বছরের শাসনামলের মধ্যে শেষ বছরটি সহিংস রাজনীতির মধ্য দিয়ে কাটালেও এ অস্থির সময়ে জেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে মাঠে তেমন একটা দেখা যায়নি। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ মাঠে থাকলেও গুটিকয়েক নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উল্লেখযোগ্য কোন নেতা রাজনীতির মাঠে অনুপুস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা না হওয়ায় সাংগঠনিক কাঠামো কিছুটা দুর্বল হয়েছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর বলেন, আমরা কেন্দ্রে কমিটি জমা দিয়েছি। সহসাই কমিটি অনুমোদন হবে বলে জানালেও নির্বাচনের পূর্বে কমিটি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। কমিটি ঘোষনা না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন ধরনের অসন্তোষ নেই বলেও দাবী করেন হাজী মুছা মাতব্বর। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা না হলেও নির্বাচন পরিচালনায় সকলের অংশগ্রহণ থাকবে স্বত:স্ফুর্তভাবেই।