রামগড়ের পুড়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নতুন ভবন পূর্ণ নির্মান না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
রামগড় প্রতিনিধি :
১৯২০ সালের প্রাচীনতম মহকৃমা শহরের রামগড় মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে ৯নং পৌর ওয়ার্ড বাজার এলাকার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। যার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা শিশু শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৪৩০ জন। কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ১১জন। দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের আধাপাকা টিনসেট ভবনটি গত ২৭ মার্চ ২০১৩ইং তারিখে বৈদ্যতিক শট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে আসবাপত্রসহ সর্ম্পূণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহাম্মেদ পার্বত্য নিউজকে জানান, পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের আয়তন ২৬৮০ বর্গফূট। তার মধ্যে ৫টি শ্রেণী এবং একটি উপকরণ কক্ষসহ সর্বমোট ৬টি কে নিয়মিত শ্রেনী পাঠদান কার্যক্রম হয়ে আসছিল। বর্তমানে পুড়ে যাওয়া সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হাশেম জানান, বিদ্যালয়টি পূর্ণ নির্মান ও আসবাবপত্রের চাহিদাসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসালামের নিকট বিদ্যালয়ের পূর্ণ নির্মানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসককে জানানো হলে ফার্নিচার বাবত অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ভূইয়া এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান , উপজেলা সদরের মধ্যে অবস্তিত বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে পরিষদের তরপ হতে বিদ্যালয়টি পূর্ণ নির্মানে বিদ্যালয় রেজুলেশনসহ ছবি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সচেতন মহল সহ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবক মহল বিদ্যালয়টি পুয়ে যাওয়া ভবনটি পূর্ণ নির্মান করে প্রয়োজনীয় আসবাপত্র বরাদ্দ পরে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ গড়ে তুলতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোন দাবি জানিয়েছেন।