পরিচালনা পর্ষদের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ স্থানীয় কোচিং সেন্টার জড়িত

রামগড় বালিকা বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী শিক্ষার প্রথম বিদ্যাপীঠ খাগড়াছড়ির রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে স্থানীয় কিছু অবৈধ কোচিং সেন্টার সংশ্লিষ্টরা পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলটির পরিচালনা পর্ষদ।

শনিবার (১ এপ্রিল) স্কুলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে কোভিডকালীন সময়ের ক্ষতি পোষিয়ে নিতে এবং রোজা ও এসএসসি পরীক্ষার দীর্ঘ বন্ধের সময় ছাত্রীদের লেখা পড়া চলমান রাখতে অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অষ্টম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের বিশেষ ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত কোচিং নীতিমালা অনুসরণ করেই বিশেষ ক্লাসের এ সিদ্ধান্ত নেন স্কুল পরিচালনা পর্ষদ।

কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক যোগাাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোমানা ইসলাম নামে স্কুলের ভুয়া ছাত্রী পরিচয়ে খোলা ফেক আইডি থেকে বিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায়। একইভাবে একটি দুষ্টুচক্র ফেক আইডির মাধ্যমে স্পর্শকাতর ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে বানোয়াট তথ্য প্রচার করে স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেস্টা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, অবৈধভাবে পরিচালিত স্থানীয় কিছু ভূঁইফোর কোচিং সেন্টার বাণিজ্যিক হীনমানসিকতা চরিতার্থ করতে প্রাচীন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে আরও অভিযোগ করা হয়, কোন কোন অবৈধ কোচিং সেন্টার প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথেও জড়িত।

স্কুল পরিচালনা পর্ষদেরর সভাপতি ও রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অবৈধ কোচিং সেন্টারগুলোর ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, স্কুল নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারকারী ফেসবুকের সেই ফেক আইডির বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপও নেয়া হবে।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী নাজমুল হুদা বলেন, রোমানা ইসলাম নামে নবম শ্রেণির ছাত্রী পরিচয়ে যে আইডি থেকে এই বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে নবম শ্রেণিতে এ নামে কোন ছাত্রী নেই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। সংবাদ সম্মেলনে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপপ্রচার, কোচিং সেন্টার, বালিকা বিদ্যালয়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন