রামুর ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে পৃথক ডাকাতি ॥ ৬ লাখ টাকার মালামাল লুট

11471R-News

রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে একইদিনে পৃথক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল একটি  যাত্রীবাহি বাস এবং একটি সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রীদের মারধর করে ৬ লাখ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় এবং রাত আটটায় ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানেরছরা ও ধুমছাকাটা এলাকায় এসব ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতের প্রহারে আহত মিনিবাস (হিললাইন সার্ভিস) চালক এজাহার মিয়া জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ধুমছাকাটা বিট অফিস এলাকায় ১৫ জনের অধিক অস্ত্রধারি ও মুখোশ পরিহিত ডাকাত ব্যারিকেড দিয়ে ঈদগাওমুখি হিল লাইন মিনিবাসটি (কক্সবাজার জ-১১-০০৮৯) থামানোর চেষ্টা করে। এসময় গাড়ি সজোরে চালানোর চেষ্টা করলে ডাকাতদর গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গাড়ি থামলে ডাকাতদল গাড়ি চালক এজাহার মিয়াকে ব্যাপক মারধর করে এবং প্রত্যেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও তল্লাশী করে সর্বস্ব লুট করে নেয়।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ডাকাতদল গাড়িতে থাকা ৪৫ জন যাত্রীকে মারধর করে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন সেট সহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয়। এদিকে ডাকাতি চলাকালে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ডাকাতদল আতংক ছড়াতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।
ডাকাতের প্রহারে আহত ওই বাসের চালক এজাহার মিয়াকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঈদগড় চরপাড়ার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে।
ডাকাত কবলিত কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, গতকাল ছিলো ঈদগড়ের সাপ্তাহিক হাটের দিন। তাই রাতে ব্যবসায়িরা বাজারে বেচা-কেনা করে নগদ অর্থ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। এদের মধ্যে অনেকে ছিলো মাছ ব্যবসায়ি। ডাকাতরা ব্যবসায়িদের কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা সহ মালামাল লুট করেছে।
জানা গেছে, অন্যান্য সময় গহীন বনের মধ্যে ডাকাতি হলেও এবার হয়েছে ঈদগড় বাজারের কাছাকাছি জনবসতিপূর্ণ লোকালয়ে। ঘটনার পরই রামু থানার এএসআই মোতাহের ঘটনাস্থলে যান। তিনি ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন।

একইদিন (শুক্রবার) সকাল সাড়ে আটটায় একই সড়কের হিমছড়ি ঢালায় ডাকাতদল একটি সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করেছে। অটোরিক্সা চালক আসহাব জানান, ১২ থেকে ১৫ জনের শসস্ত্র মুখোশধারি ডাকাতদল তাঁর এবং ৫ জন যাত্রীকে মারধর করে ১৩ হাজার নগদ টাকা এবং ৬টি মোবাইল সেট লুট করে নেয়।

একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জনমনে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা ওই সড়কে পুলিশের জনবল ও টহল বৃদ্ধি এবং ডাকাত প্রতিরোধে আরো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন