রামুর কচ্ছপিয়ার মৌলভীর কাটাঁয় জমজমাট জুয়ার আসর : প্রশাসন নির্বিকার

 

উপজেলা প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি :

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের মৌলভীর কাটাঁর টেক পাড়ায় অপ্রতিরোধ্যভাবে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। প্রতি রাতে  ৩০-৫০ হাজার টাকার জুয়া খেলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ দেখেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

রামুর কচ্ছপিয়ার মৌলভীর কাটাঁর টেক পাড়ার ঠান্ডা মিয়ার পুত্র শাহ আলম (৩২), টেকপাড়ার গুরা মিয়ার পুত্র আব্দুল করিম (৩১), একই এলাকার আহমুদুর রহমানের পুত্র সাহাব উদ্দিন (৩৫), মৃত মুতি মোস্তফা সওদাগরের পুত্র আবু মোছা (৩৬), কালা মিয়ার পুত্র আমানু (৩২) অভিযোগে জানান, মৌলভীর কাটাঁর টেক পাড়ার মৃত হোছন ফকিরের পুত্র ঠান্ডা মিয়ার মালিকানাধীন সিদ্দিক আহমদ, শাহ আলম এর দোকানে প্রতি দিন সন্ধ্যা ৬,০০ ঘটিকা থেকে রাত ২.০০ ঘটিকা অবধি ১০০-৫০ টাকার জোয়ার খেলা চলে আসছে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে । এই নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ও সচেতন ব্যক্তি জন সাধারণের সাথে জুয়াড়ীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও কথা কাটাঁ কাটি হয় বলে জানান।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টেক পাড়ার মৃত আহামুদুর রহমানের পুত্র জয়নাল আবেদীন (২৮), ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আব্দুল্লাহ (২৩), ঠান্ডা মিয়ার পুত্র ফরিদ আলম (৩৩), আলম (৩০), নুর আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদীন (২৬), এছাড়া মিয়াজীর পাড়ার মনির আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন (২৬), উলা মিয়ার পুত্র মো : আয়াজ (২৭), গুরা মিয়ার পুত্র নুরুল হাকিম (২৭), মো :হোছনের পুত্র ঠান্ডা মিয়া  (২৬), সিদ্দিক আহমদের পুত্র লালু মিয়া (২৮), সিদ্দিক আহমদের পুত্র আয়াত উল্লাহ (২৪) গং তিনটি দল জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে ।

উল্লেখিত জুয়াড়ীরা সন্ধ্যা ৬ টা  থেকে রাত ২.০০ টা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে জুয়া খেলে ১০০ থেকে ৫০ টাকা বা কোন উৎসবে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত । এ নিয়ে এলাকার সচেতন ও নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তি এই জুয়া খেলা বন্ধ করতে বললে উল্টো মারধর ও পুলিশের হুমকি দেয় । এছাড়া ওই দুই দোকানের জমিদার ঠান্ডা মিয়া দম্ভতি করে বলেন, আমার দোকানে যা ইচ্ছা তা করব এতে অন্যরা বলার কে ? স্থানীয়রা ওই সব জুয়া খেলা বন্ধ করতে বলার পরও এই খেলা চালিয়ে আসছে । পুলিশ জানার পর কোন সময় ঘটনাস্থলে যায়নি  । 

এই বিষয়ে রামু থানাধীন গজনিয়া পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা (আই সি) মফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে, এ ব্যাপারে  আমি তড়িৎ গতিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব ।

যুব সমাজ ধ্বংসের হাতিয়ার এই জোয়া খেলায় দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবক ছেলেরা । স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ তড়িৎ গতিতে এই খেলা বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন । 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন