রামুর নিম্নাঞ্চল এখনো পানির নিচে, মানুষের দুর্ভোগ কমেনি
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রামুতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দূর্গত মানুষের দূর্ভোগ কমেনি। এখনো উপজেলার রামু চাকমারকুল, জোয়ারিয়ানালা, রাজারকুলের অধিকাংশ এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বন্যায় চারদিনে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ২ শিশু সহ ৩ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া বাঁকখালী নদীতে ভেসে যাওয়া এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় কোন কোন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশংকা করা হচ্ছে।
চাকমারকুল শ্রীমুরা গ্রামের হাজী শের আলী জানান, তিনদিন ধরে শ্রীমুরা, পূর্ব পাড়া, পশ্চিম পাড়া, নাছিরা পাড়া, শাহমদর পাড়া, উত্তর ফতেখাঁরকুল এলাকার প্রায় ১০ হাজার লোকজন পানিবন্দি রয়েছে। এখনো পর্যন্ত বন্যার পানি কমেনি।
তেচ্ছিপুল এলাকার বন্যা কবলিত বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, ৪দিন পর মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। কিন্তু বিকাল থেকে আবারো অঝর ধারায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরফলে পানি আবারো বাড়তে শুরু করেছে। সেইসাথে বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ আরো অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, রামু-মরিচ্যা আরাকান সড়ক, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীন সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, সরকারি ভাবে এখনো কোন ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছালেও তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চিড়া, গুড় ও চাল দুর্গত এলাকাঢ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।