রোহিঙ্গাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা স্বীকার করলো মিয়ানমার

fec-image

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের আইনজীবি অধ্যাপক উইলিয়াম সাবাস এ কথা স্বীকার করেন।

উইলিয়াম সাবাস বলেন, রাখাইনে যেটা হয়েছে সেটা অবশ্যই গণহত্যা নয়। এটাকে নিয়ন্ত্রণ আরোপ বলা যেতে পারে, কিন্তু গণহত্যা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাখাইনে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন বিধি নিষেধের মধ্যে রাখা হয়েছিল। এটাকে নিয়ন্ত্রণ আরোপ বলা যেতে পারে। কিন্তু গণহত্যা চালানোর উদ্দেশ্যে এটা করা হয়নি।

গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে শুরুতেই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেন, দু:খজনকভাবে রাখাইনের অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া। আন্তর্জাতিক আইন ও সনদসমূহের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

সু চি বলেন, গণহত্যার উদ্দেশে অভিযান পরিচালনার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেবে না আমাদের সরকার। যখন দেশের বিচার ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে, শুধু তখনই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এর বিচার করতে পারবে।

তিনি বলেন, যেসব সেনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এমন কোনো কাজ করে থাকে; যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাহলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।

নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আজ গণহত্যার অভিযোগের জবাবে যুক্তি উপস্থাপন করছে মিয়ানমার।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিচার শুরু হয়েছে। টানা তিনদিন ধরে চলবে শুনানি। গতকাল (১০ ডিসেম্বর) মামলার বাদী গাম্বিয়া যুক্তি উপস্থাপন করেছে। আজ মিয়ানমারের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন করছে। এরপর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পাল্টাপাল্টি যুক্তি উপস্থাপন করবে গাম্বিয়া-মিয়ানমার।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অং সান সু চি, রাখাইন, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন