‘রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে’

fec-image

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, উখিয়া ও টেকনাফ অন্য উপজেলার দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস রয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সব বিষয়ে আলোচনা করে সুরাহার পথ বের করা হবে।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে অনেকটা বেকার সময় কাটাচ্ছেন স্থানীয় শ্রমিকরা, এছাড়া স্থানীয় কোন দোকানে রোহিঙ্গাদের চাকরি দিলে মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে। পবিত্র রমযান মাসকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হবে। কোন পণ্য যদি অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হলে এবং মূল্য তালিকা না থাকলে ব্যবসায়ীদের মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হবে। সেহরী-ইফতার ও তারাবি নামাযের সময় লোডশেডিং না করা আহ্বান জানান।

উখিয়ায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবারে(২৩ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা হল রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

এই সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীবকে এনজিওতে চাকরির জন্য স্থানীয় যোগ্য বেকার শিক্ষিতদের ডাটাবেজ তৈরি করার নির্দেশ দেন।

এই সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলি, সহকারি কমিশনার ভূমি সালেহ আহম্মদ,উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইরফান উদ্দিন।

জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম ছৈয়দ আলম।

তারা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যর কারণে স্হানীয়দের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সবচেয়ে ভুক্তভোগী বেশি স্থানীরা।

গত ১ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ হাজার যুবক চাকরি হারিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যান্তরে স্থানীয় পরিবার গুলো অসহায় অবস্থায় দিন-যাপন করছে- সূর্যডোবার আগেই তাদেরকে বাড়ি ফিরতে হয়। বিভিন্ন কারণে অকারণে নির্যাতিত স্থানীয়রা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা এমদাদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার বদরুল আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণ।

মতবিনিময় সভা শেষে উপজেলা প্রিল্যান্সিং এন্ড আউটসোর্সিং ট্রেনিং সেন্টার এবং ব্লক বাডিক ও সেলাই প্রশিক্ষন উদ্বোধন করেন এবং উখিয়া থানা পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলন প্রশাসক মো.শাহীন ইমরান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন