‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নারাজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা’

fec-image

রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে কোন পদক্ষেপ তো দূরের কথা কোন কথাই বলতে পারবেন না কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। এমন কি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা চিহ্নিতকরণ বা স্থানীয়দের সাথে অবাধ মেলামেলা, সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধের দাবীতে স্মারকলিপিও গ্রহণ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মো. আসাদুজ্জামানের সাথে দেখা করে নতুন ভর্তি বিষয়ে কথা বলতে গেলে এমন উত্তরের সম্মুখিন হন। শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস থেকে ফিরে গণমাধ্যকে এ বিষয়ে খোলাসা করেন সুজনের সাধারণ সম্পাদক।

মাহাবুবুর রহমান বলেন, বছরের শুরুতে ভর্তি কার্যক্রমে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কৌশলে রোহিঙ্গা ভর্তি হতে পারে। নকল জন্মসনদ এবং জনপ্রতিনিধিদের সত্যায়িত কপি সরবরাহ করার আশঙ্কা থেকে যায়। যা পরে একটি জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ সব বিষয়ে কথা বলতে গেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মো. আসাদুজ্জামান সন্তুষজনক ব্যবহার করেননি। বরং তার আচার আচরণে ‘রোহিঙ্গা ভর্তিপ্রীতি’ মনে হয়েছে। এমনকি নাগরিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিলেও গ্রহণ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

সুজনের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে ভিন্ন দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জেলা, প্রাথমিক, রোহিঙ্গাদের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন