রোয়াংছড়িতে চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে জেএসএস কর্মী নিহত
স্টাপ রিপোটার:
বান্দরবানে রোয়াংছড়িতে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বিমল চাকমা (৩০) চাঁদাবাজ নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দু’জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে তালুকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) দুই গ্রুপের সদস্যরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জেএসএসের সশস্ত্র কর্মী বিমল চাকমা নামে একজনের মৃত্যু হয়।
আহত হয় জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য মংহাই মারমাসহ দুজন। অপরজনের নাম জানা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে পাশের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
বিমল চাকমার বাড়ি রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়িতে। পিতার নাম সুমন চাকমা। সে জেএসএস’র হয়ে রোয়াংছড়িতে পোস্টেড ছিলো।
এদিকে জেএসএসের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে তারাছা তালুকদার পাড়ার নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে জেলা শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।
তারাছা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মহিউদ্দিন বলেন, স্থানীয় লোকজনের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গেলে জেএসএসের সশস্ত্র ক্যাডাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে জেএসএসের সশস্ত্র বিমল চাকমার লাশ উদ্ধার করে নৌ-পথে বান্দরবানের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। ভারী বর্ষণে সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লাশ বান্দরবানে পাঠাতে বিলম্ব হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেএসএসে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান ও অন্য তিন পার্বত্য জেলায় জনসংহতি সমিতিসহ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে হত্যা, গুম ও চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।