লংগদুতে চিকিৎসার নামে কিশোরীর সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ওঝা

top_96872013-07-09_1373379859

লংগদু প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় চিকিৎসার কথা বলে রিনা চাকমা(১৩)নামের এক কিশোরীর সর্বস্ব লুটে নিয়েছে ‘হবু শাহ’(৪০)নামক এক প্রতারক ‘ওঝা’। গত ১১সেপ্টেম্বর বেলা এগারটার সময় উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গীপাড়ায় এঘটনা ঘটেছে। 

ওই কিশোরীর পারিবারিক ও লংগদু থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রত্যক কুমার চাকমার ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা রিনা চাকমা। সে অনেক দিন যাবৎ মৃগী রোগে ভূগছে এবং মেয়েটি একটু হাবাগোবা প্রকৃতির। গুচিয়ে কোন কথা বলতে পারে না। সে কারণে লেখাপড়াও করে না। মেয়ে যতই বড় হচ্ছে ততই মা,বাবার চিন্তা বাড়তে থাকে কিভাবে মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তুলবেন।  গত ১০ সেপ্টেম্বর একই ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গীপাড়া (বাঙ্গালী পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র মোঃ জহির উদ্দিন ওরফে ‘হবু শাহ’ (৪০) এর সাথে দেখা হয়। সে ওই কিশোরীর চিকিৎসা করতে পারবে বলে জানায়। শেষ মেষ ওই কিশোরীর বাবা ওঝাকে বিকেল তিনটায় তাদের ঘরে নিয়ে আসে।  ওঝা ‘হবু শাহ’ ওই কিশোরীকে রাত বারটায়, একটায় ও দুইটায় তিনবার ঝাড়ফুঁক করে এবং রাতের বেলায় সেখানেই থেকে যায়। পরের দিন সকাল নয়টায় আবারও তাকে ঝাড়ফুঁক করেন। এরপর ওই কিশোরীকে ছড়ার পানিতে গোসল করে আনতে বলে। গোসল করে আনা হলে এবার তাকে তিন রাস্তার মাথায় নিয়ে একা ঝাড়ফুঁক করার কথা বলে ওঝা। সে ওই কিশোরীকে নিয়ে ঘর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশে একটি কলা বাগানের ভিতর নিয়ে যায়। পরে সেখানে ওই কিশোরীর শরীরের সমস্ত কিছু খুলে তাকে ধর্ষন করে ওঝা (হবু শাহ) পালিয়ে যায়।

এদিকে ২/৩ ঘন্টার পর ওই কিশোরীর বাবা মেয়েকে  রাস্তায় একা কান্না করতে দেখে তাকে বাড়ীতে এনে জিজ্ঞাবাদ করা হলে তখন ওঝার কুকীর্তির কথা জানাজানি হয়। পরে ওই কিশোরীর পিতা প্রত্যক কুমার চাকমা বাদী হয়ে জহির উদ্দিন ওরফে হবু শাহ’র বিরুদ্ধে গত ১৩ সেপ্টেম্বর লংগদু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লংগদু থানার এস আই অঞ্জন কুমার দে জানান, ওই কিশোরীকে শনিবার রাঙামাটিতে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। ধর্ষক ওঝা হবু শাহ পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আটকের সব রকমের চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।  

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন