শপথ নিলেন আবদুল হামিদ

 

 ডেস্ক নিউজ

দেশের ২০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন আবদুল হামিদ এডভোকেট। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা।

শপথ বাক্য পাঠ শেষে ভারপ্রাপ্ত স্পিকার এবং প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ করমর্দন শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পবিত্র কোরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা এবং কালো রংয়ের মুজিব কোট পরিহিত ছিলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট । শপথ বাক্য পাঠ শেষে বাদক দল বিউগলে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিবাদন জানায়।

এ সময় প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, নির্বাচন কমিশনারগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মরহুম প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানের অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যুর ৬ দিন পূর্বে চলতি বছরের ১৪ মার্চ আবদুল হামিদ এডভোকেট বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০ মার্চ প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ২১ এপ্রিল তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়। অন্য কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ২২ এপ্রিল তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এর ফলে তিনি জাতীয় সংসদের ইতিহাসে দ্বিতীয় স্পিকার হিসেবে দেশের তৃতীয় অবস্থান থেকে প্রথম অবস্থানে উন্নীত হলেন। তার আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯১ সালের ৫ম জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

আবদুল হামিদ এডভোকেট ১৯৪১ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিকলী জি মি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন তিনি। সরকারি গুরুদয়াল কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি ওই কলেজের ভিপি ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন এডভোকেট। কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে ওকালতি করেছেন। কিশোরগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন বেশ কয়েকবার। দাম্পত্য জীবনে তিনি স্ত্রী মোছা. রাশেদা খানমের সাথে সংসার ধর্ম পালন করছেন। রাশেদা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং তিন ছেলে এবং এক কন্যাসন্তানের জনক। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসন থেকে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ছিলেন তিনি।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন