সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে ওলামায়ে
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে সারা বিশ্বে আজ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রথমে আলেম সমাজকে দায়ী করার প্রবণতা বাড়ছে। আজ সে এখানকার ওলামায়ে কেরাম কর্তৃক‘ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা এটাই প্রমাণ করে প্রকৃত ধর্মানুরাগী ওলামায়ে-কেরাম, আলেমরা এসব ঘৃর্ণিত কাজে জড়িত থাকতে পারে না।
২৪ জুলাই ২টায় মানিকছড়ি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়‘ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও নবীন-প্রবীণ আলেম সংবর্ধনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ‘আলোকিত মানিকছড়ি জনকল্যাণ সংস্থা’র সভাপতি হাফেজ ক্বারী মো. নাছির উদ্দীন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। এছাড়া অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ। বক্তা ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সহ-সভাপতি মো. সামায়উর ফরাজী সামু, মাও. নূর মোহাম্মদ, মাও. ফজলুল হক, মাও. শামসুল হক,মাও. ফরিদ উদ্দীন, মাও. দিদারুল আলম কাসেমী প্রমূখ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মুফতী আনোয়ার হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন, মাও. মহিউদ্দীন বিন সুরুজ।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ ধরণের জনসচেতনমূলক সভা আয়োজনের মধ্য দিয়ে‘ আলোকিত মানিকছড়ি জনকল্যাণ সংস্থা ’প্রমাণ করল কোরআন চর্চায় নিবেদিত প্রকৃত আলেম-ওলামায়ে কেরামরা শান্তি ধর্ম পবিত্র কোরআন গবেষণার পাশাপাশি জনসচেতনায় পারদর্শী। এভাবে আলেম ও ওলামায়ে কেরামরা এগিয়ে এলে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল সহজ হবে। তাই দেশের সর্বত্র আলেম সমাজ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে জনসচেতনায় এভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে কেউ অপব্যাখা দিতে সাহস পাবে না।
সভা শেষে আয়োজক কমিটি অতিথি ও প্রবীণ আলেমদের সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এর আগে জেলা প্রশাসক মো.শহিদুল ইসলাম তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন।