সুদানে সেনাবাহিনী ও কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫৬

fec-image

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির প্যারামিলিটারি গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।

এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ৬০০ জন। স্থানীয় চিকিৎসকদের একটি সংগঠন জানিয়েছে, শুধুমাত্র শহরে ১৭ জন বেসামরিকসহ মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ক্ষমতা দখলে নিতে সুদানের সেনাবাহিনী ও কুখ্যাত আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। উভয়ই (সেনাবাহিনী এবং র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ) দাবি করেছে যে, খার্তুমের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেখানে রাতভর লড়াই চলেছিল।

রবিবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে খার্তুম সংলগ্ন ওমদুরমান ও নিকটবর্তী বাহরিতে ভারী কামানের শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা পোর্ট সুদানের লোহিত সাগরের শহরটিতেও গোলাগুলির কথা জানিয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্যারামিলিটারির প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর বাহিনীর সঙ্গে কোনো সমঝোতা কিংবা সংলাপ হবে না। প্যারামিলিটারিকে ভেঙে দিতে হবে। তাহলে সংলাপ হতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো পলাতক অপরাধী। নাগরিকদের আমরা তাদের সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া না করার আহ্বান জানাই। তার কিংবা তার বাহিনীর দেখা পেলে রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে।

এদিকে সুদানের রাজধানী খার্তুমে রবিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

সূত্র : সিএনএন, বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন