স্কটিশদের উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ

2016_01_31_15_38_56_17czaFP5ZBmNoglHYxiQWPzGBvRttQ_original

ক্রিড়া ডেস্ক:

অসাধারণ এক অপরাজিত শতকে দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আবারও অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্কটল্যান্ডেকে সহজেই হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শেষ আট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের যুবাদের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে স্কটল্যান্ড সেভাবে কোনো সাফল্য পায়নি। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আজিম দার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। সম্মিলিত বোলিং নৈপুণ্যে শুরু থেকেই স্কটিশদের চাপে রাখে বাংলাদেশ।

যদিও নেইল ফ্ল্যাক ও জোরি জনস্টন ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। তবে সেখান থেকে ইনিংস টেনে নেয়ার কেউ ছিলেন না। ফ্ল্যাকের (২৮) উইকেট দিয়ে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন মিরাজ। একই ওভারে ওয়াইস শাহ খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে যান। জনস্টন (২০) দলীয় ৫৬ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন আরিফুল ইসলামের বলে। পরে আজিম দার ও জ্যাক ওয়ালার কিছুটা লড়াকু মনোভাব দেখান। কিন্তু সেই লড়াইয়ে কাজের কাজ হয়নি। দলীয় ৮৯ রানে আরিফের বলে শাওনের হাতে ধরা পড়েন ওয়ালার (২৪)।

এরপর টানা তিনটি উইকেট তুলে নেন আসিফ আহমেদ শাওন। ম্যাকরিয়াথকে এলবডিব্লিউর ফাঁদে ফেলান তিনি। এছাড়া হ্যারিস আসলাম জাকিরের ক্যাচে পরিণত হন। আর রায়ান ব্রাউনকে বোল্ড করেই ফেরান শাওন। হঠাৎই শাওনের ঘুর্ণিতে কাবু স্কটল্যান্ড কোনঠাসা হয়ে যায়। বাংলাদেশের জয় তখন সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়।

শাওন থামলে শুরু হয় সাইফুদ্দিনের পালা। হ্যারিস কার্নেগি ও মিচেল রাওকে বোল্ড করে ফেরত পাঠান তিনি। এর মধ্যেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয় আজিমের। ৮৮ বল খেলে কোনো বাউন্ডারির মার ছাড়াই অর্ধশত রান পূর্ণ করেন তিনি। অর্ধশত রান পূর্ণ হওয়ার পর সেই সাইফুদ্দিনের বলেই শাওনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আজিম। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফুদ্দিন ৭.২ ওভারে ১৭ রানে এবং ১০ ওভার বল করে শাওন ২৭ রানের খরচায় তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আরিফুল দুটি ও অধিনায়ক মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট হাতে নেমে মাত্র ১৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে ছিল বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই পিনাক ঘোষ ফিরে যান সাজঘরে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই জয়রাজ (১৩) শেখও তাকে অনুসরণ করেন। এরপর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে সেই চাপ কাটায় বাংলাদেশ। যদিও দলীয় ১১৮ রানে হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান পেছনে থাকতেই আউট হয়ে যান সাইফ।

সাইফ হাফসেঞ্চুরি করতে না পারলেও শান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। ১১৭ বল থেকে ১০টি চারের মারে তিনি করেন ১১৩* রান। এছাড়া মিরাজ ৪৮ বল থেকে চারটি চারের মারে করেন ৫১ রান। শেষ দিকে ছোট একটা ঝড় তোলেন সাঈদ সরকার। ছয় বলে এক চার ও এক ছক্কার মারে তিনি করেন ১৬ রান। স্কটিশ বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ গাফফার ৬০ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট তুলে নেন।

এদিকে বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হওয়ায় দলে জায়গা পাননি ডানহাতি অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা। তার পরিবর্তে একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন আরিফুল ইসলাম। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ এবারের যুব বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল। এই ম্যাচে জয় পেলে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে যুব টাইগাররা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন