১০দিনেও গ্রেফতার হয়নি খাগড়াছড়ি প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের অফিস প্রহরী ধর্ষক আতিক

ধর্ষণ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

ঘটনার ১০দিন পরও গ্রেফতার হয়নি খাগড়াছড়ি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অফিস প্রহরী ধর্ষক আতিক হাসান। ঘটনার পরদিন থেকেই সে আত্মগোপনে রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ঐ সেবা কেন্দ্রের অফিস প্রধান ও কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপি ডা: সৈয়দা লুলু মারজানের সহযোগিতায় ঘটনার একদিন পর অফিস প্রহরী পালিয়ে গেছে।

জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অফিস প্রধান ও কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপি ডা: সৈয়দা লুলু মারজানের মাস্টারপাড়াস্থ জনৈক ইউনুস সওদাগরের চতুর্থ তলার ভাড়া বাসায় গত ২ জুলাই দুপুরে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহকর্মী (১৯)। প্রতিদিন কর্মকর্তার সাথে বাসায় আসা যাওয়া ও পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে অফিস প্রহরী আতিক হাসান কলিং বেইল টিপে বাসায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানির পর কর্মকর্তা জোর করে পিল খাইয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।

গৃহকর্মীর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, দুপুরে ঘটনা ঘটলেও গভীর রাতে তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয় এবং মোবাইলে থানাকে জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন ঐ কর্মকর্তা। অন্যদিকে যথাসময়ে ডাক্তারী পরীক্ষা না করিয়ে দুইজনের বিয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা বলে কৌশলে ধর্ষককে এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন বলে ভিকটিমের খালা রাজুনা বেগম ও মামা মামলার বাদী আবুল হাশেম অভিযোগ করেন। ঘটনার দুইদিন পর খাগড়াছড়ি থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সামসুদ্দীন ভুইয়া জানান, লিখিতভাবে থানায় জানাতে বিলয়ম্ব করায় এবং ভিকটিমকে হাজির না করায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি এবং আসামী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, পুলিশ আসামীকে ধরতে সব ধরনের চেষ্টা করছে।

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অফিস প্রধান ও কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপি ডা: সৈয়দা লুলু মারজান জানান, ঘটনার পর পরই থানার ওসি ও এসআই মির্জা মোহাম্মদ মুক্তাকে বিষয়টি জানানো হলেও পুলিশ তাৎক্ষণিক কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আসামী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি জানান, পালাতক প্রহরীর বিরুদ্ধে তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর ঠিকানায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য হেড অফিসে জানানো হয়েছে।

.

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন