লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মারপিটের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিজ্ঞ আদালতে। সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম সবুজ পাল মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি রিমন সরকার বলেন, গত ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিনকে জায়গা সংক্রান্ত আপোসের নামে মাইনী এলাকার আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে উপজেলা চেয়াম্যান মো. আব্দুল বারেক সরকার তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এরপর মোসলিম উদ্দিন রাঙামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ আগস্ট দুপুরে মারপিটের অভিযোগে এনে রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ১৭৭/২০। তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২০।
মামলার বাদী মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের রাজানগর এলাকায় আমার নামে টিলা জমি ৬০ শতাংশ, ধানের জমি ৭৫ শতাংশ এবং বসবাসের জায়গা ১ একর ৩৫ শতক জায়গা রয়েছে। জায়গাগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু চেয়ারম্যান বারেক সরকার আমার জায়গাগুলো অন্যর কাছে মাত্র ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করতে জোর করেন। আমি না মানায় গত ১৭ আগস্ট সকালে মাইনী এলাকার আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে আপোসের নাম করে আমাকে ডেকে নেন। এরপর আমার মেয়ের জামাই ও অপর দু’আত্মীয়ের সামনে আমাকে বেধড়ক মারপিঠ করেন।’
লংগদু উপজেলার চেয়ারম্যান বারেক সরকার এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে মতামত ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যান। সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মোসলেম উদ্দিনকে হাতে ধরে বলেছিলাম, আপনার জায়গাগুলেরা এত মূল্য নেই। তাছাড়া এই জায়গা রুহুল আমীনের। বর্তমানে জায়গাগুলো রুহুল আমীনের দখলে আছে। আপনি সমস্যা না বাড়িয়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর মোসলেম উদ্দিন উত্তেজিত হলে তিনি একটি ধাক্কা দেন বলেও স্বীকার করেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আদালতে মামলা হলে বিধি মোতাবেক মোকাবিলা করবো। এসময় তিনি মোসলিম উদ্দিনকে জায়গা দখলবাজ হিসেবে আখ্যা দেন।’