পানছড়ি হাসপাতাল সড়কের বেহাল অবস্থা
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি।
জেলার পানছড়ি উপজেলার হাসপাতালে যাওয়ার সড়ক দুটির বেহাল দশার কারণে জনমনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। সড়ক দুটি নিজেরাই যেন রোগী। আর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেহাল দশা নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে মুখরোচক গল্প।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানছড়ি বাজার থেকে হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তাটিতে আজো লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ডিজিটাল যুগের এই সড়কটিতে এখানো কাপেটিং তো দুরের কথা পনের/বিশ বছর ধরে সংস্কারের মুখও দেখেনি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই কাঁদা আর গর্তে জমে থাকে হাটু সমান পানি। এসব দুরবস্থার কারণে রোগী, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, জনসাধারণ ও হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকল্প সড়ক পানছড়ি থানা ও পশু সম্পদ কর্মকর্তার অফিসের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া কাপেটিং করা রাস্তা দিয়েই বর্ষা মৌসুমে কোন রকম চলাচল করে থাকে।
কিন্তু বিগত বছর খানেক ধরে এই সড়কটিও অকেজো। কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। প্রতিনিয়তই রোগী বহনকারী মোটর সাইকেল, রিকসা, অটো রিকসা ও সিএনজি উল্টে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। স্থানীয় প্রশাসন যেন চোখ থাকিতে অন্ধত্বের ভুমিকা পালন করছে।
এ ব্যাপারে পানছড়ি টিএন্ডটি টিলার বাসিন্দা ও চেংগী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাধন বিকাশ চাকমা জানান, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, এ সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শফিক, মজিদ, জামাল, তোফাজ্জল, জাহাংগীরসহ আরো অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই সড়কে প্রতিদিন শত শত লোকের চলাচল।
কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে। তাই অন্ত:ত বাজারমুখী সড়কটি হলেও সংস্কার করা হোক। ৩নং পানছড়ি ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল জব্বার জানান, সড়কটি এল.জি.ই.ডির আওতাভুক্ত। ইউনিয়ন পরিষদে তেমন বাজেট নেই তাই এ.ডি.বি বরাদ্দ থেকে হলেও বাজেট দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: নাসির উদ্দিন জানান, সড়কটি খুবই জরাজীর্ণ। হাসপাতাল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে চব্বিশ ঘন্টাই লোকজন আসা-যাওয়া করে। এই ব্যস্ততম সড়কটি জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরী বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেনের সাথে সড়কের দুরবস্থা সম্পর্কে আলাপকালে তিনি জানান, বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে সড়কটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছেনা তবে বরাদ্দ এলে এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আসলেই গুরুত্বপূর্ণ সড়কদুটির বেহাল অবস্থা। আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। আশা করি জুলাই/আগষ্টে এ.ডি.বি’র বরাদ্দের মাধ্যমে রাস্তা দুটি সর্বসাধারনের চলাচলের উপযোগী করা তোলা হবে। এলাকা তথা সমগ্র পানছড়িবাসীর দাবী সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করে জন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হোক।