টেকনাফে তিন বনপ্রহরীকে অপহরণের ৩ দিন পার হলেও উদ্ধার করা যায় নি
কক্সবাজারে টেকনাফে অপহৃত পাহারা দলের তিন সদস্যকে ৩ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় অপহৃত পরিবারের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কৌশলে মুঠোফোনে সর্বশেষ ১০ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে না পারলে তাদের মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
অপহৃত মো. শাকেরের বড় ভাই মো. আইয়ুব জানান, গত শনিবার সকালে মায়ের মুঠোফোনে দূর্বৃত্তরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রবিবার সকালে তা কমিয়ে সর্বশেষ আবারো ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। গরীব পরিবার হওয়ায় এত টাকা যোগাড় করা তাদের পক্ষে অসম্ভব বলেও জানান তিনি।
এদিকে চাহিদাকৃত মুক্তিপণ দিতে না পারায় তাদেরকে প্রচুর শারিরীক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। মুঠোফোনে সেই চিৎকার শুনানো হচ্ছে পরিবারের মাঝে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্ক মধ্যে রয়েছে। তিনদিন পার হতে চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার অভিযান নিয়ে অসন্তোষ এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অপহৃত ৩ জনই সিপিজি দলের সদস্য। তাদের উদ্ধারের জন্য বনবিভাগ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, পাহাড়ে একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে ন্যাচার পার্কের বন পাহারা দিতে গিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় বাসিন্দা ও সিপিজি বন পাহারা দলের সদস্য আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের (২৪),মৃত আবদুল শুক্কুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৭) ও মৃত বকসু মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৩২)।
কোথাও খোঁজ খবর না পেয়ে রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় আবদুল মালেক বাদী হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরের দিন মুক্তিপণ চাওয়াতে নিশ্চিত হওয়া য়ায় যে, তারা অপহরণের শিকার হন।