পানছড়িতে প্রয়াত সুনেন্দা মহাথের’র অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
পানছড়ি প্রতিনিধি :
প্রায় দশ সহস্রাধিক দায়ক-দায়িকার উপস্থিতিতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ৪নং লতিবান ইউপির কুড়াদিয়াছড়া উগ্যজাই পাড়া সৌরম্য বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ প্রয়াত সুনেন্দা মহাথের এর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি অনুসারে শুক্রবার সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিনির্বাপিত সুনেন্দা মহাথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এ উপলক্ষে আয়োজক কমিটি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলে দু’দিনে অনুষ্ঠানকে সাজিয়েছে নানা আয়োজনে। আয়োজনগুলোর মাঝে বৃহস্পতিবারে ছিল সুনেন্দা মহাথের সবদেহ ধর্মীয় মর্যাদার মাধ্যমে (চেংগিয়ং) এ স্থানান্তর ও সুনেন্দা মহাথের উদ্দ্যেশ্যে ইযেং নৃত্য প্রদর্শন।
শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে ভিক্ষুদের মঙ্গলচরণ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের সূচনা পর্ব। বৃহস্পতিবার বেলা এক’টা থেকে দায়ক-দায়িকার আসন গ্রহণ, অতিথিদের অভ্যর্থনা ও পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের মঞ্চে আসন গ্রহণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ধর্মীয় সভা। এ ধর্মীয় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মংসাথোয়াই চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন পানছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রয়াত সুনেন্দা মহাথের এর বৈশিষ্ট্য, আচার-আচরণ যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ সময় তিনি উগ্যজাই পাড়া সৌরম্য বৌদ্ধ বিহারকে আধুনিকায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা, খগেশ্বর ত্রিপুরা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: বাহার মিয়া, সতীশ চন্দ্র চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, বিজয় কুমার দেব ও এমপির ব্যক্তিগত সহকারী খগেন ত্রিপুরা প্রমূখ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের প্রাক্তণ চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় প্রধান ড: জিনবোধি মহাথেরো। বিশেষ ধর্মালোচক ছিলেন মহামুনি বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উ: সোভনা মহাথের।
ধর্মীয় আলোচনা শেষে বিকাল তিনটায় প্রয়াত সুনেন্দা মহাথের মরদেহ ধর্মীয় মর্যাদায় ধুম্রবাজি দ্বারা দাহক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় তার আত্মার শান্তির জন্য হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস বাতি উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে বলে জানান অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি আথোয়াই মারমা।