পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে বসছে বিজিবির ৩০ নুতন বিওপি

fec-image

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আরো ৩০টি নতুন বিওপি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ।

বিজিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ রোববার (৫ অক্টোবর) ছোট ফরিংগা বিওপি উদ্বোধনকালে এ বিষয়ে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা সুরক্ষার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) ২টি নতুন ব্যাটালিয়ন স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ২টি ব্যাটালিয়নের আওতায় নতুন করে ৩০টি বর্ডার পোস্ট (বিওপি) স্থাপিত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত বাংলাদেশের সমতল জেলার সীমান্ত এলাকার মতো গতানুগতিক নয়। সেখানকার সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। যেমন রাঙ্গামাটির বাঘাইহাট ও মারিশ্যার ব্যাটালিয়নের আওতাধীন এমন দুর্গম এলাকায় বিওপি আছে, যেখানে পায়ে হেটে ৪ দিন লাগে যেতে। ফলে ওই সব এলাকা কভার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের আওতায় পার্বত্য জেলার দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় নতুন দুটি ব্যাটালিয়ন স্থাপিত হলে বিশাল দুর্গম সীমান্ত এলাকা সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষায় সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের নতুন ৭৩টি বিওপির মধ্যে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ইতোমধ্যে ৬৯টি বিওপি স্থাপিত হয়েছে। খুব সহসা আরও ৪টি বিওপি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে। তার মধ্যে গত এক বছরে স্থাপিত নতুন ১০টি বিওপির মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়িনের আওতাধীন সীমান্তে স্থাপন করা হয় পাঁচটি। নতুন বিওপি স্থাপনের ফলে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালানরোধসহ সব সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবির সক্ষমতা ও দক্ষতা বেড়েছে। রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন ও মীরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নের মধ্যবর্তী প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা পাহাড় ও বনভূমি বেষ্টিত দুর্গম হওয়ায় বিজিবি আভিযানিক তৎপরতা পরিচালনা কষ্টকর ছিল। ছোট ফরিংগা বিওপি স্থাপনের ফলে দীর্ঘদিন অনেকটা অরক্ষিত থাকা বিশাল এ সীমান্ত এলাকা এখন সুরক্ষিত হলো। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তাসহ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তি শৃঙ্খলারক্ষার বিজিবি দায়িত্বও পালন করে উল্লেখ করেন তিনি। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালানরোধ, সীমান্তবর্তী অধিবাসীদের নিরাপত্তায় বিজিবি এখন আস্থার প্রতীক বলেও দাবি এই ঊর্ধ্বতন বিজিবি কর্মকর্তার।

রোববার খাগড়াছড়ির রামগড়ের ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করেরহাটের পাহাড় ও বনাঞ্চল বেষ্টিত দুর্গম সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত ‘ছোট ফরিংগা বিওপির’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বিজিবির গুইমারা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মিজানুর রহমান ও ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আহসান উল ইসলাম ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, বিওপি, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন