পেকুয়ায় পুলিশের সাথে নাটক
নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় পুলিশের সাথে নাটক করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকায়।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ওই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের সাপেরগাড়া পাইন্নেছড়া পাড়ায় ডাকাতদলের হানার গুজব ছড়ায় এলাকার লোকজন। মুহুর্তের মধ্যে এ সংবাদ এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে, সংঘবদ্ধ জনতা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে অন্ধকার রাতের আঁধারের সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এক বেরশিক প্রেমিক তার প্রেমিকার বাড়িতে গেলে তাকে জড়িয়েই শোরগোল ও হৈ হুল্লোড়ের ঘটনাটি ঘটে।
কিন্তু ঘটনার সবিস্তার না জেনে স্থানীয় জারুলবুনিয়া স্টেশন বাজার সংলগ্ন এলাকার মৃত মিয়া হোছনের পুত্র প্রায় হাফ ডজন মামলা ও অভিযোগের আসামী নুর মোহাম্মদ এলাকায় ডাকাতদলের হানা পড়েছে বলে পেকুয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। সন্ধ্যায় গ্রামে ডাকাতের হানার খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ডাকাতি প্রতিরোধের প্রস্তুতি নেন ও বিষয়টির সত্যতা নিরূপনে তৎপর হন। একপর্যায়ে থানার নবাগত ওসি জিয়া মোস্তাফিজ ভুইঁয়া ও অন্যান্য অফিসার ঘটনার প্রকৃত সত্যতা জানতে তাৎক্ষনিক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে অবহিত হন। কিন্তু নুর মোহাম্মদ থানা পুলিশকে ডাকাতের হানা প্রতিরোধে দ্রুত জারুলবুনিয়ায় এগিয়ে না আসতে দেখে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের ভুমিকায় রহস্যজনক আচরণ করছে বলে বিভিন্ন মহলকে জানান।
একপর্যায়ে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের ঘটনাস্থল যাত্রায় বিলম্ব হওয়ায় উর্ধ্বতন মহলের চাপের মুখে পড়ে পুলিশ। বেকায়দায় পড়ে পেকুয়া থানা পুলিশ উর্ধ্বতন মহলকে ঘটনার প্রকৃত সত্য সবিস্তার অবহিত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে পেকুয়া থানার ওসির নির্দেশে পেকুয়া থানার এস.আই বিমল কান্তি দে’র নেতৃত্বে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে তারা বিষয়টি নিশ্চিত হন। এসময়, পুলিশের উপস্থিতি ও তৎপরতা টের পেয়ে অভিযোগকারী নুর মুহাম্মদ দ্রুত আত্মগোপন করেন। অনেক খোঁজাখুজি করেও নুর মোহাম্মদকে না পেয়ে থানায় ফিরে যায় পুলিশ।