রাশিয়া ও কিরগিজস্তানের ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অবদান রাখা মস্কো ও কিরগিজস্তানের ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। খবর এএফপি’র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা মাল ও উৎপাদিত পণ্যের প্রবেশ এবং তাদের যুদ্ধকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অর্থায়নের উৎস বন্ধ করা।
স্টেট এবং ইউএস ট্রেজারির নতুন করে তৈরি করা কালো তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক, এনার্জি শিল্প, শিপিং, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি সংগ্রহ ও প্রস্তুতকারক এবং বেসরকারি সামরিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন সাতটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় রাখা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ধাতব ও খনি খাতে রাশিয়ার রাজস্ব আয় কমাতে, ভবিষ্যৎ জ্বালানি সক্ষমতাকে দুর্বল করতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থায় যেন তারা ঢুকতে না পারে, সেসব বিষয়ও মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অর্থ দপ্তরের উপমন্ত্রী ওয়ালি অ্যাডিইয়েমো এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্র সরবরাহ রুখে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস সর্বশেষ এ অবরোধকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের ‘অন্তহীন আক্রমণের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে এই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।
এদিকে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ কিরগিজস্তানের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে। তারা জানায়, প্রযুক্তিগত উপকরণের উপর যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটাতে রাশিয়া এসব কিরগিজ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে। আর এটি রাশিয়ার উৎপাদকরা চান।