পানছড়িতে মাটি ধস, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন; চেংগী ইউপি ভবনের অর্ধেক নদী গর্ভে
গত কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বর্ষণে উপজেলার পানছড়ি-হাছান নগর সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যান চলাচল দুরের কথা মানুষ চলাচলের পথটুকুও গোলক প্রতিমার ছড়ার স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা জরুরী বলে এলাকাবাসীর দাবী।
এলাকার আবদুর রহমান খোকন ও টমটম চালক রবিউল ইসলাম জানান, রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে জনসাধারণের পাশাপাশি বিদ্যালয়মুখী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছে। হাসান নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবী জানায়। হাসান নগর সড়কটিতে সড়ক ও জনপথের পড়ে থাকা পাটাতনগুলো বসিয়ে দিলেও প্রাথমিকভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলা সম্ভব বলে অনেকে জানায়।
এদিকে পানছড়ি-তবলছড়ি সড়কের ছয়টি স্থানে মাটি ধসে রাস্তাটি পড়েছে ঝুঁকির মুখে। প্রবল বর্ষণে সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে নিচে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল করছে ঝুকিপূর্ণভাবে। উঁচু-নিচু, আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি এই সড়কে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এই সড়ক বেয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ও তাইন্দং এলাকার জনসাধারণের খাগড়াছড়ি যাতায়াত করে আর মুমুর্ষ রোগীরা আসে পানছড়ি হাসপাতালে।
এদিকে চেংগী ইউপি ভবনের অর্ধেকাংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ইইপি চেয়ারম্যান কালা চাদ চাকমা জানান, রাতের অন্ধকারে ভবন ভেংঙ্গে পড়ায় প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদি চেংগীতে ভেসে গেছে। পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ জানান, পানছড়ি-হাছান নগর সড়ক, পানছড়ি-তবলছড়ি সড়ক, চেংগী ইউপি ভবন আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এ সব এলাকার ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য ছবি ও ভিডিও আকারে উপরে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সমুহে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পানছড়ি এলজিইডি অফিস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।