উখিয়ার সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, উদ্যোগ নেই সওজ কর্তৃপক্ষের

উখিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের চরম ঝুকিঁ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়ার পর উখিয়ার সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিণত এবং ভয়াবহ যানজট লেগেই থাকে।

ত্রাণবাহী ও বাঁশ ভর্তি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কগুলো লন্ডভন্ড হয়ে যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের মারাত্মক অবস্থার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)কে দায়ী করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

বুধবার(১৭ অক্টোবর) সকালে বালুখালী কাস্টমস অফিস সংলগ্ন ও থাইংখালী এলাকায় ত্রানবাহী ও বাঁশভর্তি ট্রাক বড় বড় খানা খন্দকে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়। পুলিশ ও আইনশূঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল ও উল্টে যাওয়া ট্রাক অপসারণ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়ক সংস্কার ও খানা খন্দক ভরাটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও দূর্নীতির কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উখিয়ার অংশে ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা জনান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী সহ বিভিন্ন স্থানের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার পর উখিয়ার সড়ক গুলোতে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য শত শত ত্রানবাহী ও বাঁশ, ইট, বালু, গাছ ভর্তি ট্রাক যাতায়াতের কারণে সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে আই এনজিও এবং দেশীও এনজিও এবং দাতা সংস্থার শত শত গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে।

রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত, আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলো রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিলেও সড়ক সংস্কারের জন্য তাদের নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দূর্ঘটনা। তাজা প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী। দূর্ঘটনার শিকার হয়ে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ চরম দাযিত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গর্ত ও খানা খন্দক ভরাট না করে নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন বলে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারু জামান চৌধুরী জানান, সড়কের দু’পাশে ৬ ফুট প্রশস্ত করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বরাদ্দ আসলে সড়কের কাজ শুরু হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন