গুইমারায় যুবক নিখোঁজ, পরিবারের দাবি অপহরণ
গুইমারা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির গুইমারা কলা বাজার থেকে একযুবক নিখোঁজ হয়েছে। তবে তাঁর মা রুপনী ত্রিপুরার দাবি মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় গুইমারা ছাগল বাজার থেকে তার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে কলা বাজারে নিয়ে পরবর্তীতে অপহরণ করা হয়েছে।
অপহৃত ব্যক্তি মাটিরাংগা থানার পশুরামঘাট এলাকার রমনি মোহন ত্রিপুরার ছেলে পিযুষ ত্রিপুরা (২৬)।
অপহৃত পিযুষের মাতা রুপনী ত্রিপুরা উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণমাধ্যমকর্মী ও প্রশাসনকে জানান, তার ছোট ছেলেসহ গুইমারা মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) হাটবার হিসেবে বাজারে কাঁচা কলা বিক্রি করতে যায়। কলা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার সময় ছাগল বাজারে অবস্থান করে। এমন সময় প্রতিবেশী ননতিরায় ত্রিপুরার ছেলে নগেন্দ্র ত্রিপুরা মোবাইল ফোনে তাকে কলা বাজারে আসতে বললে পিযুষ ত্রিপুরা ছোট ভাইকে বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং সে নগেন্দ্র ত্রিপুরার সাথে দেখা করতে যায়। এরপর পিযুষ স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে তাকে বাইল্যছড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলার পর থেকে পরিবারের লোকজন তার সাথে আর কোন যোগাযোগ করতে পারে নাই। মূলত ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে নগেন্দ্র এ কাজ করেছে বলে তিনি জানান।
একই দিন বিকেলে রুপনী ত্রিপুরা লোকজনসহ সুর্নিদিষ্টভাবে নগেন্দ্রকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে যায় এবং চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সামনে তার ছেলেকে ফেরত দিতে বলে ।
পরর্বতীতে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ বিদ্যুৎ বড়ুয়া নগেন্দ্রসহ অপহৃতের মা রুপনী ত্রিপুরাও ভাই কিশোর ত্রিপুরাকে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, নিখোজের বিষয়ে থানায় একটি ডায়েরি হয়েছে। অভিযুক্ত নগেন্দ্রের বিষয়ে কোন প্রমাণাধি না পাওয়ায় রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নিখোঁজ পিযুষকে উদ্ধারে পুলিশ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত নগেন্দ্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে অপহরণসহ বেশ কয়েকটি মামলা খাগড়াছড়ি আদালতে চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে উপজেলার হাতমিুড়া এলাকা থেকে সব-এ-মেরাজ রাতে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরার সময় মাহবুব নামে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান এখনো পায়নি তার পরিবার।
এছাড়া ও চিংগুলি পাড়ার নুকুল এখনো উদ্ধার হয়নি।
এরই মাঝে পিযুষের অপহরণ গুইমারার সাধারণ মানুষকে আতংকিত করে তুলেছে।
স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজ আর অপহরণ আতংকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবে এ অঞ্চলের ইউপিডিএফের দায়িত্বরত মুখপাত্র ক্যহলাচিং মার্মা জানান, এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই তারা জড়িত নয়।