সাজেকে হাজাছড়া ঝর্নায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর সংঘর্ষে আহত ১০

kkkkkkkk

সাজেক প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি সাজেকের বাঘাইহাট হাজাছড়া ঝর্নায় শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কন্দ্রে করে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর সংঘর্ষে আহত ১০জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে হাজাছড়া ঝর্নায় দীঘিনালা উপজেলার বড়আদাম এলাকা থেকে উপজাতি ২৬-৩০ জনের মতো যুবক-যুবতী ও বাঘাইহাট থেকে ৬জন বাঙ্গালী ছেলে ঝর্নায় যায় এবং ঝর্না থেকে বাঙ্গালী ছেলেরা ফিরে আসার সময় উপজাতি মেয়েদের ছবি মোবাইলে তোলার অভিযোগ করে। তবে বাঙালী ছেলেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে তারা অন্যদিকে ছিলেন। এসময় উপজাতি ছেলেরা বাঙ্গালী ছেলেদের মোবাইল কেড়ে নিলে তাদের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে পাহাড়ী ছেলেরা বাঙালী ছেলেদের উপর আক্রমণ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এতে আহতরা হলেন, মো. আতিক(১৭), মো. শুক্কুর(১৫), মো. শাহিন(১৬), এনামূল হক(১৬), মো. হাসান(১৭), মো. সাগর(২৫), ওয়াসিম চাকমা(৩১) বিবেক চাকমা(২৬)।

এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার দয়াধন চাকমা(৪৫), বাঘাইহাট বাজার কমিটির সাবেক সম্পাদক ডা. নাজিম(৪২) আহত হন।

এবিষয়ে আহতদের মধ্যে মো. আতিক জানা, ‘আমরা ৬জন বন্ধু দুপুর ১টার দিখে ঝর্নায় যাই এবং আমরা ফেরার পথে আমাদেরকে পনের-বিশ জনের মতো পাহাড়ী যুবক ঘিরে ফেলে এবং আমাদের মোবাইল দিয়ে দিতে বলে। আমরা না দেওয়ায় আমাদের মারধর করে জোর করে আমাদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। মূলত; আমাদের কাছে দামী মোবাইল দেখে তা নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ীরা এ ঘটনা ঘটায়। পাহাড়ী যুবকরা ব্লেড দিয়ে বাঙালী যুবকদের উপর আক্রমণ করে।

এনিয়ে আহতেদের মধ্যে আরেক জন বিবেক চাকমা জানায়, আমি গাড়ী থেকে নেমে ঝর্না যাওয়ার সময় দেখি চার পাঁচ জন বাঙ্গালী ছেলের সাথে বিশ-ত্রিশ জনের মতো চাকমা ছেলের সাথে তর্ক হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে যাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি না হয় আমি উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করি। কারণ আমি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং আমি সেখানে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। আমার সংগঠন অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আমি দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করি যাতে কোন সংঘর্ষ না হওয়ার জন্য। কিন্তু তার পরেও ঘাতকেরা আমার ওপরও হামলা করে।

এ ঘটানার খবর পেয়ে দ্রুত নিরাপত্তা বাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আহতদের উদ্ধার করে বাঘাইহাট জোনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এবিয়ে সাজেক ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নেলসন(নয়ন) চাকমা বলেন, ঘটনাটি  শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বিষয়টি নিয়ে যাতে এলাকায় কোন রকম উত্তেজনা না হয় সে ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা ১০নং পুলিশ ক্যাম্পে বৈঠক করি।

এবিষয়ে সাজেক থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি শোনা মাত্র যৌথবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং খুঁজ নিয়ে জানতে পারি যারা মোবাইল নিয়ে গেছে সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করছে তারা সবাই দীঘীনালা উপজেলার বাসিন্দা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বৈঠক করি।

স্থানীয় বাঙালীরা জানান, পাহাড়ীদের সকল অনুষ্ঠানে বাঙালীরা এবং বাঙালী সরকারী কর্মকর্তাগণ অংশ নেন সহায়তা করেন। কিন্তু বাঙালী মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে পাহাড়ীরা সব সময় দাঙ্গা লাগিয়ে থাকে। রমজানে অবরোধ ডেকেছে, জুম্মাতুল বিদার দিনে, ঈদের আগে মুসলিম যুবকদের উপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন