অস্ত্র ধরার আহ্বানকে জান্তার ফাঁদে ফেলার কৌশল বলছে রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গাদেরকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং সব ধরণের সহযোগিতা দিবে মিয়ারমার সেনাবাহিনী। রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে লড়াই করতে এমন প্রস্তাব রোহিঙ্গাদেরকে দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। কিন্তু এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গারা রাজি, তবে শর্ত হলো তাঁদের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে, তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম নারিন জারার এক প্রতিবেদন বলছে, মংডুর এক সামরিক কর্মকর্তা রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে বৈঠকে বসে, বৈঠকে এসব প্রস্তাব দেন রোহিঙ্গা নেতাদেরকে। তবে বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা সাধারণ রোহিঙ্গারাও বলছে জান্তা সরকার যদি তাঁদের রোহিঙ্গা জাতিকে স্কীকৃতি দেয় তাঁরা দেশ রক্ষার জন্য লড়াই করবেন।
এদিকে রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্য কৌশল করছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আর আরাকান আর্মি মিলেই তাঁদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। তাঁরাই আবার আরাকান আর্মির বিরোদ্ধে যুদ্ধ করতে ডাকছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো তাঁদের নাগরিত্ব তো কেড়ে নিয়েছে মিয়ানমার, কোন অধিকার নিয়ে তাঁরা যুদ্ধ করবে।
তবে রোহিঙ্গা নেতা ডাক্তার যোবাইর বলেন মিয়ানমারের পার্লামেন্টে রোহিঙ্গা জাতির স্বীকৃতি এবং তাঁদের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দিলে রোহিঙ্গারা সাথে সাথে রাখাইনে গিয়ে নিজেদের দেশ ও মাটি রক্ষার জন্য প্রাণপণ লড়াই করবে।
এদিকে মিয়ানমারের সবধরণের নাগরিকদেরকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা দিয়েছে জান্তা, সেকারণে রোহিঙ্গাদেরকেও তাঁরা যুদ্ধে যাবার অনুরোধ করছে। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো রাজ্যেই, এমতো অবস্থায় বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত পাঠানো নিয়ে দুঃশ্চিন্তাই আছে।