সন্ত্রাসীদের শিকড়সহ কীভাবে উপড়ে ফেলতে হয় তা আওয়ামী লীগের জানা আছে- প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি
পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:
সন্ত্রাসীদের শিকড়সহ কীভাবে উপড়ে ফেলতে হয় তা আওয়ামীলীগের জানা আছে। যারা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে, সন্ত্রাসী করে তাদের শিকড়সহ কিভাবে উপড়ে ফেলতে হয় তা আওয়ামীলীগের জানা আছে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। পার্বত্যাঞ্চলে গুটি কয়েক মানুষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, অপহরণ, হত্যা ও গুমের সাথে জড়িত। তাদের নির্মুল করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অস্ত্রের রাজনীতি না করলেও অস্ত্রের নল কিভাবে বাঁকা করতে হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তা ভালো করেই জানে। আর যদি কেউ আমাদের সাথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাদের কিভাবে সমুচিত শিক্ষা দিতে হয় তা জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালো করেই জানে এবং সময়মতো সেটার জবাবও দিয়ে দেন।
প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এসব সন্ত্রাসীদের নির্মুল করতে যারা এ এলাকায় শান্তি চান, সম্প্রীতি চান, ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে চান তারা আমাদের পাশে থাকবেন বলেন। গতকাল রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, আওয়ামীলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মাহাবুবুর রহমান, আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ আখতার, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিক জেবুন্নেছা রহিম, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ এমরান রোকন সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নের জন্য অঙ্গীকার করেছেন তার এক চুলও এদিকওদিক হবে না। ভালো কাজের বিরোধীরা সব সময় বিরোধীতা করতে থাকবে। আমরা আমাদের ভালো কাজগুলো করে যাবো।
তিনি বলেন, আমি মনে করি কোন সংসদ সদস্যের কোন সন্ত্রাসী দল থাকতে পারে না। রাঙ্গামাটি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও চান না এখানে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী হোক। সন্ত্রাস নির্মুলে আমার সেই ভাই অবশ্যই আমাদেরকে সহযোগিতা করবে এটা আমাদের বিশ্বাস। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজী কোন দল নেই। আমরা অস্ত্রধারীদের বিশ্বাস করি না, সন্ত্রাসীকে বিশ্বাস করি না, তাদেরকে আশ্রয় ও প্রশ্রয়ও দিই না। যারা অস্ত্রবাজী করে, চাঁদাবাজী করে সন্ত্রাসী করে তারা শুধু আমাদের নয় দেশ ও জনগনের শত্রু। সকল রাজনৈতিক দল, সকল সম্প্রদায় মিলে আমরা পার্বত্য অঞ্চল থেকে সন্ত্রাস দমন করবো। সন্ত্রাসীদের শেকড় শুদ্ধ পার্বত্য অঞ্চল থেকে উপড়ে ফেলে দিবো। আমাদের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে কোন বিভেদ নেই। সকলেই আমরা মিলে মিশে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। পার্বত্য অঞ্চলের জনগনের শান্তি জন্য, তাদের জান মাল রক্ষা করার জন্য এ অঞ্চলের সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যা করা দরকার তা আমরা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের যারা অস্ত্রবাজী, চাঁদাবাজী করে তাদের বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ ধীরে ধীরে ঐক্য বদ্ধ হচ্ছে। আর বেশীদিন সময় নেই যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে নির্মুল করে দিতে। তিনি বলেন, এই এলাকার জনগনই তাদের নির্মুল করে দেবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় বদ্ধপরিকর। আওয়ামীলীগ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলার উন্নয়নে এতোটুকু কার্পণ্য করবে না। তিনি বলেন, পাহাড়ের আওয়ামীলীগ যে উন্নয়ন করেছে অতীতের কোন সরকার তা করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের আঞ্চলিক দলগুলো সেসব উন্নয়ন কাজে সব সময় বাধা দিয়ে আসছিলো। আমরা তাও উন্নয়ন কাজে পিছ পা হইনি।
এর আগে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিকে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আরও খবর
টেকনাফ উপকূল দিয়ে মানব পাচার অব্যাহত
পর্যটন শিল্প ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরী- মেনন
বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুরের মুর্ছনায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ২৫ বছর পূর্তি
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলেই পাহাড়ের কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়ন হবে- বীর বাহাদুর