ইউপি নির্বাচনে প্রার্থি হতে চাওয়ায় বান্দরবানের রুমায় জেএসএস নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানের রুমায় সম্ভাব্য এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে তিনটায় রুমা উপজেলার গালেগ্যা ইউনিয়নের রামদু পাড়ায় তার নিজ বাসভবন থেকে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তির নাম শান্তি ত্রিপুরা।
সন্ত্রাসীরা শান্তি ত্রিপুরা কানের পাশ দিয়ে গুলি করে ও মাথার পেছনে কোপ দিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত শান্তি ত্রিপুরা স্থানীয় জনসংহতি সমিতির সদস্য। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জন সংহতি সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। নিজ দলের কর্মী নিহত হলে সাধারণত জেএসএস প্রতিবাদ করে থাকে। তবে এ ঘটনায় এখনো তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোর সাড়ে তিন টার দিকে শান্তি ত্রিপুরা রামদু পাড়ার তার নিজ বাসায় ঘুমন্ত থাকাকারে একদল সন্ত্রাসী তার বাসা ঘেরাও করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ১ কিলোমিটার দূরে আদিকা পাড়ার কাছে জঙ্গলে তাকে গুলি করে হত্যা করার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল রুমা থেকে ৪২ কি. মি. দুরে দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সেখানে এখনো পুলিশ পৌঁছাতে পারেনি।তবে রুমা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানার পথে রওনা হয়েছে। আজ রাতে বা আগামীকাল সকালে রুমা থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, নিহতের স্বজনেরা এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কারো নাম বলেনি। তবে তিনি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থি ছিলেন। আজ তার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার কথা ছিলো। ফলে তারা সন্দেহ করছেন তার কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য গত ১ মার্চ রুমায় ঘুমন্ত অবস্থায় শৈহ্লা প্রু মারমা (৪৮) নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক সদস্যকে গুলি করে প্রাণনাশের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।স্থানীয় সূত্র জানায়, জেএসএস’র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ হত্যা প্রচেষ্টায় মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বান্দরবানের রুমা উপজেলা জেএসএস’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফ্রান্সিস ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।