ইফতারের সময় ব্যাটারির পানি খেয়ে ৪ জন হাসপাতালে
কক্সবাজারের উখিয়ায় ইফতারের সময় ভুল করে ‘ব্যাটারির পানি খেয়ে’ অসুস্থ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা।
অসুস্থরা হল একই এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে নুরুল হাকিম (১৮), মৃত আশু মিয়ার ছেলে নুরুল বশর (৩২), মৃত সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের (৩২) ও ইমাম শরীফের ছেলে ইসহাক আহমদ (৬২)।
অসুস্থরা সকলেই নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশী।
অসুস্থদের স্বজনের বরাতে নুরুল হুদা বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা স্টেশনে স্থানীয় একটি টমটমের (ইজিবাইক) গ্যারেজে দোকান মালিক ও কর্মচারিরা ইফতারের আয়োজন করে। এতে ভুল বশত ব্যাটারির পানি নিয়ে শরবত তৈরী করে। পরে ইফতারের সময় হলে ওই শরবত তারা পান করে। ইফতারে অংশ নেওয়া ৪ জন সামান্য করে শরবত খাওয়ার পরে বুক জ্বালা-পোড়া ও বমি করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
অসুস্থ নুরুল হাকিম বলেন, বুধবার রাতে দোকানের মালিক এক শিশু কর্মচারিকে পরদিন ( বৃহস্পতিবার ) ইফতারের সময় শরবত তৈরী করার জন্য এক বোতল পানি পাশের দোকানে ফ্রিজে রাখতে বলেন। এসময় ওই শিশুটি ইজিবাইক ( টমটম ) গ্যারেজের ব্যাটারির পানি ভুলে করে ফ্রিজে রেখে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে শরবত তৈরীর জন্য ফ্রিজে রাখা বোতলটি আনা হয়। যথারীতি ঠান্ডা পানির ওই বোতলটিতে লেবু, চিনি ও ট্যাং দিয়ে শরবতও তৈরী করা হয়।
অসুস্থের এ স্বজন বলেন, “ পরে ইফতারের সময় হলে বোতলের তৈরী শরবত একে একে ৪ জনেই পান করেন। এতে প্রত্যেকে কয়েক চুমক শরবত পান করে ভিন্ন স্বাদের মনে হওয়ায় অবশিষ্টগুলো রেখে দেন। এক পর্যায়ে তাদের বুকে জ্বালা-পোড়া ও বমি শুরু হলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। “
অসুস্থ ইসহাক আহমদের ভাগ্নে মিন্টু চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ জনের মধ্যে দুইজনের কিছুটা কম হলেও অপর দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।