উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে গুইমারা বিক্ষোভ
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা: ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষে বৃহস্পতিবার সচেতন নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি’র গুইমারাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে পার্বত্য এলাকার নির্যাতিত বাঙ্গালীরা।
এর আগে গত সোমবার বশত বাড়িতে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষন, ফলজ বাগান কর্তন এবং রামগড়ে তিন বাঙ্গালী হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২ঘন্টা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ৪৮ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার সকাল ১০টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ রেখে দল মত নির্বিশেষে এলাকার সর্বস্তরের বাঙ্গালীরা স্ব-স্ব উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহন করে। সচেতন নাগরীক কমিটির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুগ্ন আহবায়ক আইয়ুব আলী মেম্বার। এছাড়াও আমিনুল মেম্বার, জামাল মেম্বার, হাফিজুর রহমান, অনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, আবদুল ওহাব, ইব্রাহীম মীর, রুস্তম আলী তালুকদার, ইব্রাহীম মেম্বার, আবু জাফর ইকবাল স্বপন, মুখলেছ লিডার, আব্দুল মোন্নান মম্বার, আবু বক্কর সওদাগর, খায়রুল বাশার, দাহদাত হোসেন সাবু সহ সমাবেশে অন্যান্যরা বক্তেব্য রাখেন।
বক্তারা ঘটনার ৩দিনেও অপরাধীদের চিন্নিত ও গ্রেপ্তার করতে না পারায় প্রশাসনের ব্যার্থতার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ও সেনা বাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের দমিয়ে শান্তি স্থাপন করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, কিন্তু নিজ দেশের সন্ত্রাসীদের তারা দমাতে অক্ষম আমারা তা বিশ্বাস করিনা। তাই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। পাশাপাশি পার্বত্যাঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে একটি র্যাব ইউনিট গঠনের দাবী জানানো হয় সমাবেশে। এছাড়াও ৩০ হাজার বাঙ্গালীর হত্যাকারী সন্তুু লারমার ফাঁসি এবং বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে করা অগ্নিসংযোগের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প পুনরায় স্থাপনের দাবী জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল গুইমারা থানার বড়পিলাক বাঙ্গালীপাড়া গ্রামের আবদুর রব মেজির আম বাগান কর্তন, ২১ এপ্রিল সিন্দুকছড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে আঃ ছালামের বাসায় গুলি বর্ষন, ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল তিন বাঙ্গালী হত্যার সাথে জড়ীতের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
paharer vumir malik BANGLADESH -er jonogon ,shantu babu othoba kotipoy dushto upojati neta der kache paharer vumi chere dile shekhane “Jumland” shorojontro shofol hobe.