এটা তার কর্মফল: গুলিতে নিহত জেএসএস সদস্যের স্ত্রী
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২২ বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে ফের রক্তপাত ঘটেছে পাহাড়ে। রোববার দুপুরের দিকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই সড়কের বড়াদম নামক এলাকায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্য বিক্রম চাকমা (৩৫) ওরফে কমল বিকাশ গুলিতে নিহত হয়।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্বামীর লাশ নিতে গিয়ে নিহত বিক্রম চাকমার স্ত্রী বিপুলা চাকমা (৩১) হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘এটা তার কর্মফল’।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় কাপ্তাইয়ের চিৎমরম থেকে রাঙ্গামাটি ফিরছিলেন বিক্রম চাকমা। পথে ওই এলাকার একটি দোকানে অবস্থান নিচ্ছিলেন তিনি। সে সময় ৫-৬ জনের সশস্ত্র দল অস্ত্রের মুখে বিক্রমকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুদূর নেয়ার পর একটি বাড়ির পাশে তাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল গিয়ে বিক্রমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বিক্রম চাকমা জেএসএসের চাঁদা সংগ্রাহক বলে জানা গেছে।
রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার স্ত্রী বিপুলা চাকমাকে লাশ হস্তান্তর করা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা সনাক্ত করা যায়নি।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্বামীর লাশ নিতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় স্ত্রী বিপুলা চাকমা (৩১) স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, সকালে আমার স্বামী কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম থেকে রাঙ্গামাটি ফেরার পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জেএসএস নেতার স্ত্রী বিপুলা চাকমা বলেন, ‘এটা ছিল তার কর্মফল। এর চেয়ে বলার মতো কিছুই আর নেই।’
মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা কার বিরুদ্ধে করব? কাজেই কোনো মামলা করব না।
জানা গেছে, বিক্রম চাকমার পরিচয় সাংগঠনিক হলেও তার আসল নাম কমল বিকাশ চাকমা। তার গ্রামের বাড়ি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার কেংরাছড়ি ইউনিয়নে। তিনি দুই সন্তানের বাবা। ছোট ছেলে এলিন চাকমার বয়স দেড় এবং মেয়ে শ্রীজাত চাকমার বয়স সাত বছর।