কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ : নিহত ৩, আহত ২০: বৃহস্পতিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতাল
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের ধুরুং বাজারে জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সহ ২৫ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। সাংবাদিকরা জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় স্থানীয় জামায়াত ধুরুং বাজারের চৌরাস্তার মোড়ে হরতাল পরবর্তী সমাবেশের আয়োজন করে। ওই সময় পুলিশ সমাবেশ স্থলে গিয়ে মাইক কেড়ে নেয়। এনিয়ে পুলিশের সাথে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের কথাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের সাথে স্থানীয় গ্রামবাসীরাও যোগ দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে ১৫/২০ গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শাহরিয়ার চৌধুরী ও জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, উত্তর ধুরুং ফজনি পাড়ার ইসমাঈলের পুত্র আবু আহমদ, লেমশেখালীর আজিজ ও মুছার পাড়ার পারভেজ। জামায়াতের ওই নেতৃদ্বয় নিহতের তাদের কর্মী বলে দাবী করেছেন।
এদিকে কুতুবদিয়া দ্বীপে সমাবেশে গুলি করে ৩ জামায়াত-শিবিরের কর্মী হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজার শহরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হরতাল পরবর্তী গণমিছিল করেছে বিএনপি। কক্সবাজার সদর রামু আসনের এমপি লুৎফুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে ঈদগাঁও বাস স্টেশন এলাকায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে একই দিন সকাল-সন্ধ্যা কক্সবাজারে হরতাল ডেকেছে বিএনপি। গত রোববার জেলার চকরিয়ায় হরতালে ৩ বিএনপি কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।