কক্সবাজারে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় এনজিও কর্মকর্তা আটক
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংখ্যা (আইওএম) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ১৬ জুলাই ২০২৩ বান্দরবান-চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন এক নারী কর্মী।
মামলায় কক্সবাজারে পূর্ব টেকপাড়ার কালুরদোকান এলাকার বাসিন্দা মাস্টার সৈয়দ আহমদের ছেলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর উখিয়া ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাইট-ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে কর্মরত আহমদ ইউসুফ জামিল(৩২)কে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী দীপঙ্কর দাশ জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী একই আইএনজিও সংস্থার অধীন এনরুট ইন্টারন্যাশনালে-এ একই প্রকল্পে কর্মরত। একই সাথে চাকরির সুবাদে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ওই নারী এনজিও কর্মীকে ইউসুফ জামিল বিভিন্ন সময়ে প্রেম নিবেদন করতে থাকে এক পর্যায়ে দু’জনের সম্মতিতে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরবর্তীতে ২৬ মে ২০২২ইং ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ১৫ লাখ টাকা দেন মোহরে নারী কর্মীর সাথে আহমদ ইউসুফ জামিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর অর্থাৎ ৩১ মে স্বামীর অধিকারে ওই নারী কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করে স্বামী ইউসুফ জামিল। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীকে স্বামী অর্থাৎ ইউসুফ জামিলের নিজ গৃহে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও সুচতুর স্বামী বিভিন্ন তাল-বাহনা করতে থাকে, এক পর্যায়ে বাড়ি নির্মাণের কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করেন। পরবর্তীতে ঘরে তুলে নিতে আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে অন্য নারীকে বিয়ে করবে বলে হুমকি প্রদান করে এনজিও কর্মকর্তা ইউচুফ জামিল। এসব বিষয়ে নির্যাতনের শিকার নারী এনজিও কর্মী আইওএম সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
পরে উপায়ন্তু না পেয়ে এ বিষয়ে নারী কর্মী বাদি হয়ে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আসামি এনজিও সংস্থা আইওএম কর্মকর্তা ইউসুফ জামিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যৌতুক দাবীর দায়ে অভিযুক্ত ইউসুফ জামিলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার কারগারে পাঠান।
এই ঘটনার পরপরই রোহিঙ্গা ক্যাম্প জুড়ে নারী এনজিও কর্মীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। ইউসুফ জামিলদের কাছে অন্যান্য নারী কর্মীরা কতটুকু নিরাপদ প্রশ্ন সুশীল সমাজের। এসব নারী আসক্ত ও যৌতুক লোভী কর্মকর্তাদের অপসারণ করা অতীব জরুরি বলে মনে করেন সচেতন মহল।