কাজের মেয়ের সঙ্গে শিল্পী আরেফিন রুমির অবৈধ সম্পর্কের ছবি ফেসবুকে
গ্রেপ্তারের পর পরই ফেইসবুকে রুমির সাথে একটি মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হাসান খান নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি ফেসবুকে পোষ্ট করে। হাসান খান নামে ফেইসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন, “আরেফিন রুমির সাথে ছবির ওই মেয়েটি রুমির বাসার কাজের মেয়ে। আর ছবিটি তুলেছেন রুমির প্রথম স্ত্রী।”. তিনি আরো বলেন, ওই ছবি নিয়ে মামলা করে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ এনে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাতে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় শারিরিক নির্যাতনসহ বেশ কিছু অনৈতিক অভিযোগ এনেছেন প্রথম স্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু একাধিক মেয়েই নয় বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছিলেন রুমি। এমনকি বাসার কাজের মেয়ের সঙ্গে রুমির একটি অশ্লীল ছবিও এরই মধ্যে ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। ওই ছবি নিয়ে এরই মধ্যে মিডিয়াঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন জানান, যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাত এনে দীর্ঘদিন ধরে অনন্যাকে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন। শুক্রবার রাতেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন রাতে মামলা করেন অনন্যা। পরে ভোরে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রুমি ও তার ভাই রনিকে গ্রেফতার করা হয়।
মাত্র দুই থেকে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ক্রমাগত নোংরামি আর অসভ্যতার বিকৃত উদাহরণই শুধু তৈরি করেছেন আরফিন রুমি। রুমির একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহশিল্পী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এতটা নোংরা মনের আর অহংকারী শিল্পী কমই দেখেছি। অহংকার আর অসদাচরণের তার আজকের এই পরিণতি হয়েছে। ভয় হয়, আবারও কোনো প্রলোভন দেখিয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীকে বশ করে ফেলে কি না।’ এদিকে রুমির ঘনিষ্ঠ অডিও প্রকাশক মারফত প্রথম স্ত্রী অনন্যাকে চাপ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে তার প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান। এ ঘটনায় আপসের ব্যাপারে আরফিন রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা একাধিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা শর্তেই রুমির সাথে আপস করতে পারি, তা হলো, তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিতে হবে।’
এদিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা এবার রুমির সাথে আমেরিকা থেকে দেশে এসে ঈদের আগে এই পরিস্থিতি দেখে হতবাক। তাই তার দ্বিতীয় স্ত্রী দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আচরণগতভাবে রুমি তার আরেক গুরু হাবিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। হাবিব তার খ্যাতি পাওয়ার সাথে সাথে যেমন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে রুমি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। গেল ঈদে রুমি আমেরিকা থাকাকালীন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর মোস্তফা কামাল রাজ ও সিডি চয়েজ নিজ উদ্যোগে রুমির সলো অ্যালবামের বিশাল লঞ্চিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, অবশ্য সেখানে ঠাঁই হয়নি তার প্রথম স্ত্রীর। অবাক আর বিস্ময়ে ক্রমশ যেন হতবাক হতে থাকেন রুমির প্রথম স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলে। আর এত কিছুর প্রকৃত ফলাফল দিয়েছে যেন মূলত দেশের অগণিত শ্রোতা। রুমির সলো অ্যালবাম বাজারে সুপার ফ্লপ হয়। শুধু তাই নয়, দুর্ব্যবহার ও অসভ্যতা করার দায়ে আয়োজকরা রুমিকে মারধর করে এক মঞ্চ থেকে বের করে দেন। সে খবরও একাধিক মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।
এই লুচ্ছাটার উপযুক্ত শাস্তি হলে অন্যান্য লুচ্ছারা ভয় পাবে । আসুন সকলে মিলে লুচ্ছা রুমিকে বয়কট করি