কাপ্তাই কামার শালায় টুংটাং শব্দে মুখর, বাড়ছে ব্যস্ততা


ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কামারশালাগুলতে বেড়েছে ব্যস্ততা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বড় ছুরি ছোট কাটারি,বঁটি,দা,চাপাতিসহ নানাবিধ মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে কামাররা।
কাপ্তাই নতুন বাজার, বড়ইছড়ি, কেপিএম কলাবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে কামারশালার টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে। কেউ নতুন দা ছুরি তৈরি করছেন,কেউবা পুরোনো বঁটি, দা,ছরি শান দিচ্ছেন। কর্মচাঞ্চলো মুখর সময় পার করে ঈদের মৌসুমে বাড়তি আয়ের আশায় আছেন।কাপ্তাই নতুন বাজার কামার আরিফ হোসেন বলেন,দীর্ঘ ১৭বছর যাবত এই ব্যবসায় করছি।কোরবানি ঈদ আসলে রাত-দিন কাজের চাপ বেড়ে যায়।
ঈদের আগ পযন্ত দিন-রাত ১২-১৪ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। দূর-দূরান্ত এবং কি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হতে লোকজন আসছে দা,বঁটি, ছুরি শান দিতে।কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে পশু কাটাট সরঞ্জাম বানাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩৫০টাকা হতে ৪৫০টাকা,বঁটি ৫০০টাকা হতে ৫৫০টাকা এবং চাপাতি ৫৫০হতে ৬০০টাকা সাইজ অনুযায়ী তৈরি করছে কামারা। এছাড়া একটি দা,বা বঁটি পোড়াতে খরচ পড়ছে ১৫০হতে ২০০টাকা পযন্ত। সময়ের সাথে বাড়ছে দাম।
উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা.এনামুল হক হাজারী বলেন,ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলতে কেরবানির জন্য বিপুল সংখ্যক গুরু-ছাগল কেনাবেচা হবে।সুষ্ঠভাবে কোরবানির জন্য ধারালো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন থাকায় কামারশাগুলোর গুরুত্ব বেড়েছে।