কুতুবদিয়ার বাজারে লাগামহীন দাম
কুতুবদিয়ায় রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে সব্জির দামে যেন আগুন লেগেছে। একইসাথে ব্রয়লার মুরগির দামেও লাগামহীন। ফলে পবিত্র রোজার মাসে ক্রেতারা বেসামাল হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর বড়ঘোপ বাজার, ধুরুং বাজার,শান্তিবাজার,লেমশীখালীতে চৌমুহনী বাজারে শাকসবজির দাম রোজার প্রথম দিনেই এক লাফে কেজিতে বাড়ে ৪০ থেকে ৫০টাকায়। ৭০ টাকা কেজির ঢেঁড়স ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। শত টাকার নিচে আলু ছাড়া কোন সবজি মেলেনি বাজারে। লেবুর হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কলার দামেও ছিল আকাশচুম্বি। অবশ্য এই দামে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ধুরুং বাজারে কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায় কিছুটা নিন্মমুখী।
ক্রেতা আব্দুর শুক্কুর জানান, ৩০০ টাকার ইলিশ মাছের কেজি ৮০০ টাকা। ঢেঁড়স কেজি ৭০ টাকা, কড়লা ৭০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা , বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, দেশি আলু ৪৫ টাকা। সবজির দাম কিছুটা কমিয়েছে ব্যবসায়িরা।
মাহমুদুল করিম বলেন, পার্শ্ববর্তী পেকুয়া থেকে তারা সবজি পাইকারি যে দামে কেনেন প্রায় সমপরিমাণ পরিবহণ খরচ পড়ে। ফলে অনত্র সবজির দাম কম হলেও
কুতুবদিয়ায় কম বিক্রি সম্ভব হয়না।
তারা আরও জানান, পেকুয়া থেকে ২৫ কেজির এক বস্তা সবজি ক্রয় থেকে বাজারে আনা পর্যন্ত অন্তত ১২ জায়গায় ৩৪০ টাকা খরচ করতে হয়। আড়ৎদার ২০টাকা, লেবার ২০ টাকা, মগনামা ঘাটে পর্যন্ত গাড়ীভাড়া ৪০ টাকা, জেটিভাড়া ৩০ টাকা, লেবার ৩০ টাকা, বোট ভাড়া ৩০ টাকা,জেটি ২০ টাকা.লেবার ২০ টাকা গুনতে হয়। যে কারণে
এক কেজি সবজি ক্রয়ের পর বাড়তি খরচ পড়ে ১৪ টাকা।
ঊড়ঘোপ বাজারেও দরে রয়েছে নানা গড়মিল।
বৃহস্পতিবার ধুরুংবাজারে ঢেঁড়স কেজি ৭০ টাকা হলেও এখানে বিক্রি হচ্ছে দেশীটা কেজি ১২০ টাকা। কড়লার কেজি ৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি এক দিনের ব্যবধানে ২৬০ টাকা স্থলে ২৩০ টাকায় নেমেছে বলে স্থানীয় মাতবর পাড়ার সাবেক ইউপি সদস্য আখতার উদ্দিন জানান।
উপজেলার প্রধান দুই বাজারে একই সবজির দামে বিস্তর ফারাক থাকলেও প্রশাসনের তেমন মনিটরিং না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে ক্রেতা সাধারণ মনে করেন।
শুধু তাই না, বাজার কমিটিও এ ব্যাপারে উদাসীন। যে কারণে ইচ্ছেমত নিত্যপণ্যে দাম নেয়া হয় বলে অনেকেরই অভিযোগ। ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন ঘাট পারাপারে পণ্য পরিবহণে সরকারি নীতিমালা বা মূল্য তালিকা মানা হয় না। জেটিভাড়া,বোট ভাড়া কম নেয়া হলে দামও অনেকটা কমে যাবে বলে তারা মনে করেন।