কুতুপালং ২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঝুপঁড়ি ঘর ও দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ।
মঙ্গলাবার (১২ মে) ভোর রাতে এমন ঘটনা ঘটলে সকাল ১১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন উখিয়া ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গারা এর ব্যবহার বিধি জানে না। তাই প্রায় সময় ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তারা বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি ই-ওয়ান ব্লকের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ৩ শতাধিক ঝুঁপটি ঘর ও দোকান। এরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসে আছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার এমদাদুল হক বলেন, আগুনের খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই। ততক্ষণে ৩শতাধিক রোহিঙ্গাদের ঝুঁপড়ি ঘর এবং দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তৎমধ্যে ৩০টির মতো দোকান রয়েছে। এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আগুণের সূত্রপাত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি সদস্য মৌলভী বখতিয়ার আহমদ, কুতুপালং ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।