খাগড়াছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বাংলার ছয়ঋতুর মঞ্চে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গা জুড়ে শীতের অবস্থান।হেমন্তের সোনালি ধান কাটার শেষ মৌসুমের উপর ভর দিয়ে, হিমেল হাওয়াকে সাথে করে ও কুয়াশার চাঁদর আবৃতে আগমন ঘটে শীতকালের। পৌষ ও মাঘেও সে তার হিমেল চাঁদর বিছিয়ে রাখে বাংলার বুকে। সোনার বাংলার এই পাতাঝরার মরশুমে বৃক্ষরাজি তাদের শরীর থেকে সকল শুকনো পাতা ঝরিয়ে ফেলে নতুন রূপে সেজে ওঠার প্রস্তুতি নেয় । মৃদু রোদের তাপ ও শিশির ঝরা রাত নিয়ে শীত আসে উদাসী সন্ন্যাসীর বেশে। এ সময় সারাদেশে শীত নেমে আসে। এই প্রাকৃতিক নিয়ম টা সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতেও প্রচণ্ড শীত পড়েছে। হেমন্ত ঋতুর মাঝামাঝি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পাহাড়ে ।সেই সাথে শৈত্যপ্রবাহও কমবেশি পড়ছে। পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানের হত-দরিদ্র ও অস্বচ্ছল পরিবার এবং জনজীবন শীতে কাতর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, অসহায়-দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষরা যারপরনাই শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলেও রাতের দিকে শীত জেঁকে বসায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেতে খাওয়া অধিকাংশ মানুষ। অনেকেরই গায়ে নেই শীত নিবারণের জন্য এক টুকরো উষ্ণ কাপড়ও। এই সকল শীতার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ। শনিবার (০৭ডিসেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা গোলাবাড়ী ইউনিনের গোলাবাড়ী ও ঠাকুরছড়া এলাকায় শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
শীতের কম্বল বিতরন শেষে বিভিন্ন এলাকায় যুব-সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে যুব সমাজের মাঝে ব্যাটমিন্টন,বলিবল বিতরণ ও লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন তিনি
এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা,গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাম কুমার ত্রিপুরাসহ ঠাকুরছড়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।