খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন বাবা-মেয়ে

fec-image

পানছড়িতে বাবা-মেয়ে একসঙ্গে এসএসসি পাস করেছেন। মেয়ে সুমাইয়া বিনতে শাহজাহান এবার এসএসসি পরীক্ষায় উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে পাস করেছেন। একই সঙ্গে বাবা মো. শাহজাহান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আওতাধীন পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.০৯ পেয়ে এসএসসি পাস করেছেন।

পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের জিয়ানগর গ্রামের বাবা-মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস করায় এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইছে।

স্থানীয়রা জানান, শাহজাহানের পেশাগত পরিচয় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক। পরিবারে তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।

বড় মেয়ে সুমাইয়া বিনতে শাহজাহান (শ্রাবন্তী) এবার এসএসসি পরীক্ষায় উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৪.৬১ পেয়ে পাস করেছেন। একই সঙ্গে তিনিও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আওতাধীন পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৩.০৯ পেয়ে এসএসসি পাস করেছেন। তিন ছেলে অভি সপ্তম শ্রেণি, আমিন দ্বিতীয় শ্রেণি ও আলিম প্রথম শ্রেশ্রেণি তে পড়াশুনা করছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) এসএসসির ফল প্রকাশ হলেও বাবা-মেয়ের একসঙ্গে পাসের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়নি। আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাবা-মেয়ে পাসের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকে মিষ্টি নিয়ে তাদের অভিনন্দন জানাতে ছু্টে যান।

এ ব্যাপারে সুমাইয়া বিনতে শাহজাহান মুঠোফোনে বলেন, আমার বাবা সবসময় আমার আদর্শ। আমাকে বাবা যেমন লেখাপড়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি তিনিও সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। বর্তমান সময়ে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সার্টিফিকেটও (সনদ) থাকতে হয়। আমি খুবই আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি। আমাদের দুজনের একসাথে সাফল্যে আমাদের পরিবারের সবাই খুশি ও আনন্দিত।

মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পাসের অনুভূতি জানিয়ে মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, অভাব-অনটনে জীবন-জীবিকার তাগিদে আমি সংসারের এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। নানা পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে এক সময় ভূমি পরিমাপ শিখি। অন্যের ভূমি মেপে হিসাব করে দেওয়ার জন্য প্রায়ই ডাক পড়ে। সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারলে আমি ভূমি মাপার প্রশিক্ষণ নিতে পারি। তাই পরীক্ষা দিয়েছি। পাসও করেছি। আমি খুশি, আমার মেয়ের সাফল্যেও জন্য আমি খুবই খুশি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এসএসসি, খাগড়াছড়ি, বাবা-মেয়ে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন