রাজস্থলীতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়, ৫২.৭৮ শতাংশ পাস

fec-image

সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় এবার ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। এমন বিপর্যয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের অবাধে স্মার্টফোন ব্যবহার, অভিভাবকদের উদাসীনতা ও শিক্ষকদের দায়সারা মনোভাবকেই দুষছেন সচেতন মহল।

জানা যায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাজস্থলী উপজেলায় গড় পাসের হার মাত্র ৫২.৭৮ শতাংশ। উপজেলার ৪টি স্কুলের মোট ৬০৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে পাস করেছে ২৭১ জন। ফেল করেছে ৩৩৭ জন। জিপিএ ৫ একজনও পাইনি ।

এ বছর গড় পাসের হারে উপজেলায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছে কারিগরী থেকে বাঙালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আর খারাপ ফল করেছে রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, গাইন্দ্যা উচ্চ বিদ্যালয় ও আবাসিক উপজাতীয় উচ্চ বিদ্যালয়।

এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গড় পাসের হার হতাশাজনক। ৬০৮ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৭১ জন পাস করলেও ফেল করেছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৩৭ জন।

এদিকে রাজস্থলী উপজেলার এবারের ফলাফলে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসবো না কাঁদবো বুঝে উঠতে পারছি না, অনেকে বলাবলি করছে।'

কিছু কিছু মানুষ মন্তব্য করেন, 'রাজস্থলীর স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের পাঠদানের চেয়ে রাজনীতি বেশি। আর কয়েকজন স্কুলে ক্লাস নেওয়া থেকে প্রাইভেট বাণিজ্য নিয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করেন। আর কিছু খন্ডকালিন শিক্ষকের দাপটের কারণে ফলাফল দেখে লজ্জা পেলাম।'

একজন অভিভাবক এ প্রতিনিধিকে বলেন, এবার রাজস্থলীর রেজাল্ট অপ্রত্যাশিত।

'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, 'শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের চেয়ে কোচিং কিংবা প্রাইভেটে বেশি আগ্রহের বিষয়টা ফল বিপর্যয়ের একটা কারণ। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির মনিটরিংয়ের অভাবও ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। খন্ডকালিন নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষক ও ছেলেমেয়েদের মোবাইলে আসক্তিও আংশিক দায়ি।।

ফলাফল বিপর্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক নই। আগামীতে ভাল ফলাফলের জন্য শিক্ষক, অভিভাবকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা করবেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এসএসসি, পরীক্ষা, ফলাফল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন