গুইমারায় সৃজিত সেগুন গাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

fec-image

খাগড়াছড়ির গুইমারায় দুই বছর আগে সৃজিত পনেরো একর বাগানের বেশকিছু সেগুন গাছ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের পঙ্খিমুড়া ঠান্ডাছড়ি এলাকায় নিরব আলী, খতিজা বেগম ও আজিজের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।দূর্বৃত্তদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান পুলিশ। নিরব আলী জানান, আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ তার কাছে চাদাঁ চেয়েছে। তিনি দেননি, এ জন্য তার বাগান কেটে দিয়েছে ওরা। অন্যদিকে দিকে খতিজা বেগম ও আজিজের ছেলে জানান ভূমি বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষ অমরবালা ত্রিপুরা, ঝলন্ত ত্রিপুরা, ঝংকা বালা ত্রিপুরারা ।

অপর দিকে অভিযুক্ত অমরবালা ত্রিপুরা, ঝলন্ত ত্রিপুরা, ঝংকা বালা ত্রিপুরা বলছেন, জমি ও কাগজ পত্র নিয়ে বিরোধ আছে সত্য। তবে গাছ কাটার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তারা ওই বাগান এলাকা থেকে দূরে বসবাস করেন।জমি বিরোধের বিষয়ে তারা বিচার প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যর নিকট। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।

স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড় একটি পাহাড়ে নিরব আলী, খতিজা বেগম, আজিজের ছেলে প্রায় পনেরো একর জমিতে বছর দেড়েক আগে সেগুন গাছের চারা রোপন করেছেন। তাদের দাবি কবিলিয়ত মূলে জমি গুলো ক্রয় করেছেন তারা। স্থানীয় অমর বালা ত্রিপুরা, ঝলন্ত ত্রিপুরা, ঝংকা বালা ত্রিপুরা, আজিজ ও খতিজা বেগমের জায়গাটিতে চারা রোপনে বাধা দেয়। তাদের দাবি জমিটি খাস হিসেবে অনেক আগে অমর বালা ত্রিপুরা কিনেছেন।নিরব আলীও আজিজের ছেলে দলিলের ফটোকপি দেখাতে পারলেও খতিজা বেগম দলিল দেখাতে পারেনি।

অভিযুক্ত অমর বালা ত্রিপুরা জানান, পাহাড়টি খাস।তিনি একুশ বছর আগেই হাত দলিল মুলে ক্রয় করে বাগান করেছেন।মেয়ে অসুস্থতার সময় ঝলন্ত ত্রিপুরার কাছে কিছু জায়গা বিক্রি করেছেন।অবশিষ্ট জায়গা খতিজা বেগম তার ভাই বশরসহ কিছু লোকজন মিলে অন্যের কাগজ দেখিয়ে জোর করে দখল করে চারা রোপন করেছেন।এসময় তিনি চারা রোপন করতে নিষেধ করেছেন।ইউপি সদস্যের নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছেন।তবে গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

অপরদিকে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের সংগঠক ক্যাহ্লাচিং মারমা ও নিশান চাকমা জানান, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কেও চাদাঁ দাবি করেনি।গাছ কাটার বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।এটি তাদের সংগঠনের নামে ষড়যন্ত্রের অংশ। এবিষয়ে সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা জানান, নিরব আলীসহ দুইজন লোক সকালে তাকে জানিয়েছেন, রাতে তাদের বাগানের গাছ কেটে দিয়েছে। তবে কে বা কারা কেটেছে তারা জানেনা। চেয়ারম্যান দুপুরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন