চকরিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউএনও

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নবম শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় মাদ্রাসা পডুয়া এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ইউএনও’র নির্দেশনা মতে ওই বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
বাল্য বিয়ে হতে যাওয়া নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামনগর মাস্টারপাড়া এলাকার মাদরাসা পডুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তাঁর পরিবার জোরপূর্বক ভাবে বিয়ের আয়োজন করেন। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী এলাকার এক প্রবাসী ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে নিয়ে দু’পরিবারের সকল ধরণের আনুষ্ঠানিকও চুডান্ত করা হয়। সেই লক্ষেই বৃহস্পতিবার মেয়ের বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে চলছিল নানা অনুষ্ঠানে আয়োজন। এরই মধ্যে নবম শ্রেণিতে পডুয়া মাদরাসা শিক্ষার্থী আজ বিয়ের পিঁড়িতে বসার পূর্বেই উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ভাবে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আতিকুর রহমানের নির্দেশ মতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মেয়ের বাড়িতে পৌঁছে তার বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনকে ডেকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এক মাদ্রাসা পডুয়া নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে নির্দেশনা দেন ইউএনও মহোদয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত ওই ছাত্রীর মাদরাসার সুপার, চকরিয়া থানার পুলিশের একটি টিম নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছে বাল্য বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেয়া হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আতিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৈয়ারবিল ইসলামনগর এলাকায় মাদরাসা পডুয়া এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। সেখানে ভিকটিমের পরিবার ওই ছাত্রীর প্রাপ্ত বয়সের কোন ধরণের প্রমাণপত্র দেখাতে না পারায় বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কনের পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে বাল্য বিয়ে নিয়ে আরো সচেতন হওয়া দরকার। সেই সঙ্গে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজে যারা নিয়োজিত কাজী রয়েছে তাদের আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন