জামিন পাচ্ছেন পেকুয়া উপজেলার বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম

fec-image

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের জামিনের বিরুদ্ধে রাস্ট্র পক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে মামলার শুনানী শেষে তার জামিন বহাল রাখেন মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিজ্ঞ দুই বিচারক।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ ১৭ লাখ টাকাসহ পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে। ওই মামলায় ১৫ দিন কারাবন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পান জাহাঙ্গীর আলম।

পরবর্তীতে ওই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদের শপথ নিয়ে তিনি দুইদিন কর্মদিবস পালন করেন। তৃতীয় দিনের মাথায় গত ৯ মে অস্ত্র মামলার রায় শুনানী হয় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আদালত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের দুইটি পৃথক অভিযোগপত্রে জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছর ও ৭ বছর সাজা প্রদান করেন। একই সঙ্গে মামলার আসামি তাঁর অপর তিন ভাইকে অব্যাহতি দেন। ইতোমধ্যে আদালতের রায়ের আলোকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করেছেন। পাশাপাশি তাঁর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য ঘোষনা করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছেন।

আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম। হাইকোর্ট বিভাগ তাকে ৬ মাসের জন্য জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের বিরুদ্ধে রাস্ট্র পক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ তার জামিন আটকে যায়।

সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রাস্ট্র পক্ষের আবেদনের উপর দীর্ঘ শুনানী শেষে গত রোববার ১৩ অক্টোবর ওই আবেদন খারিজ করে জামিন বহাল রাখেন।

পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রোমানা আক্তার বলেন, পেকুয়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন। মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা অনেকের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কয়েকদিনের জেল মুক্ত হবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজার কারাগারে আটক রয়েছেন। বর্তমানে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম মিনু।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন