জেলা পরিষদে শতভাগ চাকমা নিয়োগ, যে ব্যাখ্যা দিলেন চেয়ারম্যান

fec-image

চলতি বছরের শেষ সময়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ বাস্তবায়নাধীন প্রোগ্রেস প্রকল্পের বিভিন্ন পদে সর্বমোট আটজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর থেকে পুরো রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন জাতি স্বত্তার চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা সকলে চাকমা সম্প্রদায়ের। কিন্তু রাঙামাটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতি স্বত্তার মানুষ বসবাস করেন।

চাককিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য নিয়ে বিভিন্ন জাতি স্বত্বার চাকরিপ্রত্যাশীরা যেমন প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তেমনি এমন বৈষম্যমূলক নিয়োগ বাতিল চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক ও লেখক সৈয়দ ইবনে রহমত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব একাউন্টে লিখেন,পাহাড়ে শুধু চাকমা জনগোষ্ঠি বসবাস করে না, আরও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মানুষ বসবাস করে। সকল সম্প্রদায়কে সমানুপাতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। তাই এসব নিয়োগ অতি দ্রুত বাতিল করতে হবে।

তিনি আরও লিখেছেন, গত ২৩ নভেম্বর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে RHDC- ERRD-CHT, UNDP এর যৌথ প্রকল্পের জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশ বাঙালি প্রার্থী নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। অবাঙালি নিয়োগ দেয়া হয় ৯০ শতাংশ, অবাঙালিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল চাকমা জনগোষ্ঠির। এবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অধীনে RHDC ও ILO এর যৌথ বাস্তবায়নাধীন ProGRESS প্রকল্পের শতভাগ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে চাকমা জনগোষ্ঠি থেকে।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, প্রোগ্রেস প্রকল্পে যে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে, সেখানে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর বাঙালি জনগোষ্ঠির কোনো চাকরিপ্রত্যাশী এসব পদগুলোতে আবেদন করেনি বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো আপত্তি নাই। আমি পরিক্ষা সঠিকভাবে নিচ্ছি। এনজিও এবং ইউএনডিপিতে কাজ করতে গেলে কম্পিউটার, ইকো সিষ্টেম এগুলো বুঝতে হবে। এগুলো যদি না বুঝে সেখানে প্রার্থী হয়ে কোনো লাভ নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন