টেকনাফে জি-৩ রাইফেলসহ বিপুল সংখ্যক বিদেশী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার


কক্সবাজারের টেকনাফে বিপুল সংখ্যক বিদেশী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি বিদেশী পিস্তল, ৩টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ৩ হাজার ১০০টি রাইফেলের গুলি, ১৪টি পিস্তলের গুলি।
এসময় ১ অপহরণকারীকেও উদ্ধার করেছে। কোস্ট গার্ড ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। রোববার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে বারোটার সময় টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ এ তথ্য জানান।
ইনচার্জ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় একদল দূর্বৃত্ত বিপুল সংখ্যক অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশের একটি যৌথদল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দূর্বৃত্তরা উপস্থিতি টের পেয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে অর্তকিত এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এময় আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
তিনি বলেন, গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ পর্যায়ে যৌথ দল ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ও মাটির গর্তে লুকিয়ে রাখা বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ অপহৃত একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি জি-৩ রাইফেল, ২টি বিদেশী পিস্তল, ৩টি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ৩ হাজার ১০০টি রাইফেলের গুলি, ১৪টি পিস্তলের গুলি, ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৪ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এসময় দূর্বৃত্ত চক্রের হাতে জিন্মি থাকা একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভিকটিম হচ্ছে মো. সোহেল (২০)। সে টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লান পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
এদিকে কোস্ট গার্ডের ওই কর্মকর্তা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, অস্ত্রগুলি দেশীয় অস্ত্র নয়। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে সংগঠিত ঘটনায় একদল অস্ত্র কারবারি ও বিপদগামী যুবকরা লুটপাট করে ওই দেশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে জমা করছিল। এব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত উদঘাটন করা হবে।
তিনি আরো জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সকল ধরনের পাচার রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। অবৈধ বিষ্ফোরক ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধকল্পে কোস্ট গার্ড এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।