দীঘিনালায় অপহৃত তিন পাহাড়ি ছাড়া পেয়েছে

fec-image

দীঘিনালা উপজেলায় অপহৃত পাহাড়ি নারীসহ তিন জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তারা নিজ বাড়িতে পৌছে। পরে দীঘিনালা থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।

এদিকে বুধবার তাদের খাগড়াছড়ি বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে, তাদের জবানবন্দী নিয়ে আত্বীয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় অপহৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফকে(প্রসীত) দায়ি করা হলেও ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে।

এদিকে গত সোমবার রাতে অপহৃত রাজলক্ষ্মী চাকমার স্বামী এবং রণ জ্যোতি চাকমার পিতা ধর্ম দাশ চাকমা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে দানবীর চাকমাকে(৬৮)  প্রধান আসামি করে মোট ৫ জনের নামে মামলা করা হয়।

অপহরণের পর ছাড়া পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, ধর্ম দাশ চাকমার স্ত্রী রাজালক্ষ্মী চাকমা(৬৫) ছেলে রণ জ্যোতি চাকমা (৩২) এবং প্রিয় নাথ চাকমার ছেলে প্রভাত চন্দ্র চাকমা (৩৫)| তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার কামাকোছড়া গ্রামে।

ধর্ম দাশ চাকমা জানান, প্রতিবেশী দানবীর চাকমার সাথে ভূমি বিরোধ ছিলো। অন্যদিকে দানবীর চাকমার স্ত্রী তৃপ্তি চাকমার বড় ভাই ইউপিডিএফ এর বড় নেতা।

গত রোববার দুপুরে স্থানীয় কার্বারী প্রণয় চাকমার মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের বাবুছড়া ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকেই তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, সেখানে তাদের কোন প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-(ইউপিডিএফ-প্রসীত) এর জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ইউপিডিএফ অপহরণের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। তিনি আরো জানান, পাহাড়ে একটি পক্ষ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহৃতরা খাগড়াছড়ি বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দী নিয়ে তাদের আত্বীয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপিডিএফ, দীঘিনালা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন