পানছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ নেতাদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত

fec-image

পানছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফ নেতা বিপুলসহ চার নেতার স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় নিহতদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ইউপিডিএফ’র কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার সভাপতিত্বে পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জগপাড়ায় এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার নেতৃত্বে দলের পক্ষে থেকে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর সমতল থেকে আসা প্রগতিশীল ছাত্র যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শোক সভা থেকে শহীদের রক্ত স্নানে পানছড়ি হবে দালাল মুক্ত। গণশত্রু ও খুনীদের হঠানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে হত্যার বদলা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রামের সভাপতি ভুলন লাল ভৌমিক প্রধান অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী সংগঠন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। ঘোষিত কর্মসূচির মতে, ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বয়কট। ১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ও ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ পলন করে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, গত ১১ডিসেম্বর ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি জনপদ পুজগাংয়ের অনিলপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়, ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এসময় সন্ত্রাসীরা আরো ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের সেনাবাহিনী উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপিডিএফ, পানছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন