পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধে পাকিস্তানের হাতে ভারতের আধিপত্য ও গর্ব চুরমার


মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব যাকে অস্পৃশ্য মনে করত—ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ঢাল, রাফালে জেট এবং ইসরায়েলি ড্রোন— সেই সাথে ভারতের গর্ব।
১. পেশাদারি শ্রেষ্ঠত্বের মাস্টারস্ট্রোক:
পাকিস্তানি সৈন্য, বিমানসেনা এবং সাইবার যোদ্ধারা অতুলনীয় প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রস্তুতি এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এই যুদ্ধে। এমন শক্তিশালী আঘাত দিয়েছে যে ভারত হাঁটু গেড়ে বসেছে।
২. এস-৪০০ ধ্বংস – ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ভেঙে পড়েছে:
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত জেএফ-১৭ থান্ডার আদমপুরে ভারতের ১.৫ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে, স্পষ্টভাবে একটি বার্তা পাঠিয়েছে-ইচ্ছাশক্তি প্রবল হলে কোনও প্রতিরক্ষা দুর্ভেদ্য নয়।
এস-৪০০ কে বলা হয় বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটা এতটাই শক্তিশালী যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেন মার্কিন পেট্রিয়ট মিসাইল ব্যবহার করেও এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারেনি। এমনকি ইতিপূর্বে কখনো
এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের কোন অস্ত্র দ্বারা ধ্বংস হওয়ার নজির নেই। কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাদের নিজস্ব বিমান দিয়েই এই অজেয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেখিয়েছে, সাহস দেশপ্রেম ও দক্ষতার থেকে বড় কোন অস্ত্র নেই।
৩. সাইবার আধিপত্য:
পাকিস্তানের সাইবার বাহিনী ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে হ্যাক করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
* বিজেপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট,
* সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী,
* ভারতের অনন্য আইডি অথরিটি,
* ক্রাইম রিসার্চ এজেন্সি,
* হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স,
* ভারতের ৭০% পাওয়ার গ্রিড অফলাইনে ছিটকে পড়ে
* যোগাযোগ এবং প্রতিরক্ষা সমন্বয়কে অচল করে দেয়।
* এমনকি পাকিস্তানী বিমানবাহিনী যখন ভারতের আকাশে প্রবেশ করেছিল তখন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অন্ধ করে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে পাকিস্তানের সবগুলো বিমান টার্গেটে আঘাত করে কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিজ দেশের ফিরে আসতে পেরেছে।
৪. স্থল ও বিমান ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা:
* নাগরোটায় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ডিপো ধ্বংস,
* ভিম্বর গালি (IIOJK) ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস,
* পাঠানকোট, বাথিন্ডা, সিরসা, বার্নালায় একাধিক বিমান ঘাঁটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত,
* উরি ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে,
৫. নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি অবস্থিত অনেকগুলো পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে,
*নেজা পীর, ধর্মশাল ১, ডানা ১, টেবিল টপ নামক ভারতীয় নিরাপত্তা পোস্ট ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
৬. বিশ্ববাসীর প্রশ্ন:
* পাকিস্তান কি যুদ্ধে পশ্চিমা শ্রেষ্ঠত্বের মিথ ভেঙে দিয়েছে?
* আমেরিকান এফ-১৬ ছাড়া, শুধুমাত্র চীনা প্রযুক্তি এবং সেনাদের নিজস্ব সংকল্পের উপর নির্ভর করে জেএফ-১৭ সহ পাকিস্তানি জেট এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং এইচ কিউ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে জে-১০ সি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভারতের আক্রমণ ভেঙে দেয়।
৭. বিশ্বব্যাপী প্রভাব:
* পশ্চিমা প্রযুক্তিতে তৈরি ফ্রান্সের রাফালে যুদ্ধবিমান বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান বলে বিবেচিত। বিভিন্ন যুদ্ধে এর কার্যকারিতাও প্রমাণিত। এই যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ার কোন নজির নেই।
সেখানে পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কমপক্ষে দুইটি রাফালে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে। এর পাইলট পাকিস্তানের হাতে আটক হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অস্ত্র বিক্রেতাগণ ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রির পূর্বে তাদের অস্ত্রের দুর্নাম ছড়ানোর বিষয়ে সচেতন থাকবে বলে অনেকে মনে করেন।
এছাড়াও এ ঘটনার পর ফরাসি ডাসাল্ট এভিয়েশন-এর শেয়ারের পতন; চীনা বিমান কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। চায়না বিশ্বে অন্যতম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার পরেও তাদের অস্ত্রের একটি দুর্বলতা ছিল এই যে, তাদের অস্ত্র যুদ্ধে পরীক্ষিত নয়।
ফলে অনেক উন্নত দেশ চাইনিজ অস্ত্র ক্রয়ের ব্যাপারে দ্বিধান্বিত থাকতো। কিন্তু এই যুদ্ধে চাইনিজ অস্ত্রের কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ায় বিশ্বে এর কদর বাড়বে। বিশ্ব কম খরচের, শর্ত বিহীন উচ্চ-কার্যকর চীনা-পাকিস্তানি প্রযুক্তি সংগ্রহে আগ্রহ বাড়বে।
৮. ইসরায়েলের উদ্বেগ:
* এই একই চীনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখন মিশরের পিরামিডের উপর দিয়ে উড়ছে। ফলে এখন তা ইসরায়েলের বিমান আধিপত্যে একটি নীরব কিন্তু দৃঢ় হুমকির মুখোমুখি করবে।
৯. ভারতের প্রতি চূড়ান্ত বার্তা:
* এই যুদ্ধের মাধ্যমে ভারত একটি বার্তা সংগ্রহ করেছে তা হল, দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের আগ্রাসনের যথাযথভাবে মোকাবেলা করা হবে।
* দক্ষিণ এশিয়ায় তারা অপরাজেয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই অহংকার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
* সামরিক শক্তি হিসেবে পাকিস্তানের এই উত্থান কেবল প্রস্তুত নয়- এটি বিশ্ব শক্তি, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারসাম্য আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।